আজকরে খুলনা, ১০ মার্চ – ২০১৩ (রবিবার),এম শিমুল খান, খুলনা অফিস
পুলিশের বাঁধায় খুলনায় গায়েবানা জানাজা পন্ড তীব্র নিন্দা জানিয়ে ১৮ দলের বিবৃতি
ঃ খুলনায় পুলিশ প্রশাসনের বাঁধার মুখে সারা দেশে গণহত্যার শিকার মানুষদের রুহের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়নি। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচী খুলনা মহানগরীর শহীদ মহারাজ চত্ত্বরে আয়োজনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছিল। আসরের নামাজের পূর্ব মূহুর্তে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের প থেকে অনুমতি না দেয়ার বিষয়টি জানানো হয়। কর্মসূচীতে অংশ নিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মহারাজ চত্বর ও পার্শ্ববর্তী বিএনপি অফিসের সামনে জড়ো হলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদেরকে কড়া ভাষায় স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। জানাজা অনুষ্ঠানে বাধাদানের ঘটনাকে নজির বিহীন উল্লেখ করে তাদেরকে ােভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও ১৮ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপির বরাত দিয়ে খুলনা মহামহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি বলেন, জোটের প থেকে পুলিশের অনুমতির জন্য যথা সময়ে আবেদন করা হয়। সকাল থেকে দফায় দফায় যোগাযোগ করা হলে জানাজার অনুমতি দেয়া হবে বলে প্রতিবার আশ্বাস দেয় পুলিশ। ঠিক আসরের নামাজের পূর্বে কেএমপি থেকে জানানো হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে এ ধরনের কর্মসূচী করতে না দেয়ার। এদিকে, ১৮ দলীয় জোট খুলনা মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে গায়েবানা জানাজার মতো নিরীহ ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে না দিয়ে সরকার জনগনকে কি বার্তা পৌছে দিতে চাচ্ছেন তা জানতে চান। মানুষের কথা বলা, মত প্রকাশ করার অধিকার এবং বেচে থাকার অধিকার কেড়ে নেয়া ফ্যাসিবাদী ও জালেম সরকারকে উৎখাত করতে জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সাঃ) কে কটা ও অশালীন মন্তব্যকারী নাস্তিক ব্লগারদের সরকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে লালন পালন করছে। আর ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পেটোয়া পুলিশের নির্বিচারে গুলি বর্ষনে প্রাণ হারাচ্ছে। শাহবাগীদের দ্বারা লুটেরা, দুর্ণীতিবাজ আওয়ামী সরকারের শেষ রা হবে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম নূরুল ইসলাম দাদু ভাই, খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি, সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এস এম শফিকুল আলম মনা, জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, মুসলীম লীগের মহানগর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, সাধারন সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন, বিজেপি’র মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, পিপলস লীগের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ সৈয়দ আফতাব হোসেন, লেবার পার্টি সভাপতি লোকমান হাকিম ও জাগপা’র সভাপতি আলাউদ্দিন মিঠু প্রমুখ।
বাগেরহাটের কচুয়ায় নারী পাচার চক্র সক্রিয়,এবার ব্যবসায় লাগিয়েছে পুত্রকে
ঃ বাগেরহাটের কচুয়ায় আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী দলের সক্রিয় নেতা একাধিক নারী পাচারকারী মামলার আসামী আবজাল বালী (বাকার আফজাল) নিজেকে আড়াল করে ব্যাবসা চালানোর ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের লড়ারকুল গ্রামের আলোচিত আদম পাচারকারী আওয়ামীলীগনেতা আবজাল বালী ওরফে বাকার আবজাল তার নারী পাচারের ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাবসা চালানোর ভিন্ন কৌশল নেয়। নিজের ছেলে সোহাগ বালী এখন তার আদম সংগ্রহের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। শনিবার রাতে দীর্ঘ দিন থেকে পরিকল্পিত ভাবে থাকা একই ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক কলেজ পড়–য়া কন্যাকে বিদেশে উচ্চ শিা গ্রহনের সুর্বন সুযোগের কথা বলে প্রেমের জালে ফাসিয়ে ফুসলিয়ে পাচারের উদ্দ্যেশ্যে মেয়েটির বাড়ীতে গিয়ে ঘড়ে ঢুকলে পাশের বাড়ীর লোকজন বাড়ীটি ঘেড়াও করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সোহাগ বালীকে আটক করে। এদিকে আটক সোহাগবালী কে ছাড়িয়ে নিতে মতাসীন দলের একটি প্রভাবশালী মহল মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে দফারফা করছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে গজালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মোকলেসুর রহমান জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেেিত মেয়েটির বসত ঘর থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে গজালিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবজাল বালী ওরফে বাকার আবজালের পুত্র সোহাগবালী কে আটক করেছি এখন ও পর্যন্ত আটক রয়েছে তবে উর্দ্বতন কর্তৃপরে নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাগেরহাটে বখাটেদের চাদা না দেওয়ায় মুরগীর ফার্মে আগুন ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
ঃ বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী গ্রামের (অবঃ) সহকারী ভুমি কর্মকর্তার বাড়ীতে ৫/৬ জনের একদল সন্ত্রাসী মুখোষ পড়ে পুর্বের দাবীকৃত চাদা না দেওয়ার কারনে আঃ হাকিম হালদারের মুরগীর ফার্মে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ১৮ শত মুরগী জীবন্ত মুরগী পুড়িয়ে মেরে ফেলে এতে প্রায় তিন লাধিক টাকার তি হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে জানা যায়। প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী গ্রামের (অবঃ) সহকারী ভুমি কর্মকর্তা আঃ হাকিম হালদার অবসর গ্রহনের পর নিজ বাড়ীতে একটি মুরগীর ফার্ম তৈরি করে। এতে প্রতিবেশী কতিপয় বখাটে যুবক একাধিক বার বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের অজুহাত দেখিয়ে সময় অসময় চাদা দাবী করে। ২/৩ দিন পুর্বে এ ধরনের একটি অন্যায় আব্দার রা না করায় করায় সন্ত্রাসীরা প্তি হয়ে শনিবার গভীর রাতে ৫/৬ জনের একদল সন্ত্রাসী মুখোষ পড়ে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে আঃ হাকিম হালদারের বাড়ীতে ঢুকে তার মুরগীর (ঘরে) ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনের লেলিহান দেখে বাড়ীর লোকজন ওঠার পুর্বেই ঘরসহ ১৮ শত মুরগী জীবন্ত পুড়ে মারা যায়। এ সময় পাশে রতি মুরগীর খাবার ও আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এ ব্যাপারে আঃ হাকিম হালদার কচুয়া থানায় একটি লিখিত ডাইরী করেছেন। কচুয়া থানার ওসি জি জি বিশ্বাস জানান, এই জঘন্য ঘটনা তদন্ত পুর্বক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিশ্ব নারী দিবস উপল্েয নগর মহিলা দলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঃ বিশ্ব নারী দিবস উপল্েয রবিবার বিকাল ৪ টায় খুলনা মহানগর মহিলা দলের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা খুলনা মহানগর মহিলা দলের সভাপতি বেগম রেহানা ঈসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, বিশেষ অতিথি খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সৈয়দা নার্গিস আলী, মনিরুজ্জামান মন্টু, জাকিয়া বেগম, রোজি রহমান, বক্তব্য রাখেন কে এম ফরিদী, আজিজা খানম এলিজা, এ্যাড তসলিমা খাতুন ছন্দা, কোহিনুর বেগম, মুক্তি মাহমুদা মনি, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, মুন্নি জামান, রোকেয়া ফারুক, দোলোয়ারা খন্দকার, রেবেকা, নাজমা বেগম প্রমূখ।
খুলনায় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
ঃ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, খুলনার প থেকে চলমান বিভিন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রবিবার খুলনার বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল সমূহের চিকিৎসক ও ছাত্রদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ রবিবার খুলনা সদর হাসপাতাল, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সরকারী বি. এল. কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল এর চিকিৎসক, শিক, শিার্থীদের সাথে মত বিনিময় করেন। এছাড়া, সন্ধ্যায় বি.এম.এ ভবনে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথেও মত বিনিময় করা হয়। মত বিনিময় সভায় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, যুগ্ম আহবায়ক ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, সদস্য সচিব ড. অনির্বাণ মোস্তফা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান, প্রফেসর ড. আফরোজ পারভীন, প্রকৌঃ শিশির কুমার শীলসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ শিার্থীদের আগামী ১১ মার্চ সোমবার মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী জামাতসহ রাজনৈতিক শক্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ, জাতীয় পতাকা ও শহীদ মিনার অবমাননা এবং মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে ঘৃনা এবং প্রতিবাদ মিছিলে যোগদানের জন্য আহ্Ÿান জানান। খুলনার বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সোমবার সকাল ১০টায় খুলনা মহানগরীর শিববাড়ী চত্বরে সমবেত হয়ে পরে মিছিলসহ রাজপথ প্রদণি করে শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনারের পাদদেশে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হবে।
তারেক রহমানের ৬ষ্ঠ কারাবন্দী দিবস উপলে
খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঃ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬ষ্ঠ কারা বন্দী দিবস উপলে রবিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও খুলনা মহানগর আহবায়ক আজিজুল হাসান দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আরিফুজ্জামান অপু, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ুদ্র জাতিসত্ত্বা বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ হাসান লাবলু, একরামুল হক হেলালের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ময়েজ উদ্দিন চুন্ন, সোয়েব উদ্দীন মিন্টু, নূরুল ইসলাম লিটন, শরিফুল আনাম, শাকিল আহমেদ, মোস্তফা আরিফ শুভ, হেলাল শরিফ, জাহাঙ্গীর হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, জাকারিয়া বাবু, কে এম মাহবুবুল আলম, ইকবাল হোসেন, সেলিম কাজি, ওহাব শরীফ, কামরুজ্জামান কামরুল, শেখ আসাদুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম বিপ্লব, বেল্লাল হোসেন শহিদ, মোঃ সাহাবুদ্দিন, হারুন-অর-রশিদ, হাসানুর রশিদ রাসেল, নজরুল ইসলাম, আহসান হাবিব বাবু, জুম্মান খান, কবির বিশ্বাস, সাহারুজ্জামান মুকুল, সাইদুল হক মিরন, মোয়াজ্জেম হোসেন, লাবু বিশ্বাস, মিজানুর রহমান বাবু, খায়রুল বাশার, সরদার মিজান, ফারুক সরদার, বদরুল রশিদ রুবেল, ডাঃ ফারুক হোসাইন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ অপর এক বিবৃতিতে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা আরিফ শুভ’র নানী মরহুমা কাজী জোহরা খাতুন (৮৩) এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সম্পপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
খুলনার ফুলতলায় জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ কমিটির প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত
ঃ রবিবার বিকাল ৫টায় খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলা সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ ও সামাজিক কমিটি কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বি এম এ সালাম। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। তিনি বলেন, সারাদেশের জামায়াত শিবিরের তান্ডবে সাধারণ মানুষ আজ দিশেহারা। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলতে হবে। এদের অত্যাচারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সারাদেশের মানুষ নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। এদের নিরাপত্তা দিতে সকল নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য কমরেড হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হাদী, কমিউনিষ্ট পার্টিও জেলার সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ, আইনজীবী মুজিবুর রহমান, প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান খান খোকন, শ্যামল সিংহ রায়, সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মাহাবুব উল ইসলাম, নারী মঞ্চের আহ্বায়ক দেলোয়ারা বেগম, আইনজীবী আফম মহাসিন রেজা, অসিত বরণ বিশ্বাস, যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জামাল প্রমুখ। প্রধান অতিথি প্রতিবাদ সভা শেষে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট ফুলতলা উপজেলা সন্ত্রাস,সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ কমিটি ঘোষনা করা হয়।
সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুমেও কাঁকড়া ধরা হচ্ছে : বন বিভাগ নীরব দর্শক
ঃ প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকায় প্রজনন মৌসুমে মা কাঁকড়া ধরা হচ্ছে। ফলে সম্ভবনাময় মৎস্য সম্পদ কাঁকড়ার অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা। খুলনা ও সাতীরা রেঞ্জের ৫৪ নং কম্পার্টমেন্টের মান্দার বাড়িয়া এলাকাটি অভায়রাণ্য হলেও মাছ ধরার পাস নিয়ে সেখানে কাঁকড়া শিকার চলছে অবাধে। একই ভাবে ৬৩ নম্বরে কম্পার্টমেন্টের চামটা, ইলশেমারি, খেজুরদানাসহ রায়মঙ্গল নদী সংলগ্ন চলছে কাঁকড়া শিকার। জানা গেছে, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতীরার সুন্দরবন এলাকায় থানাগুলোর মৎস্য জীবিরা সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুমেও শিকার করছেন কাঁকড়া। বন বিভাগের দুর্বল নজরদারি ও জেলেদের সাথে আর্থিক সমঝোতার মাধ্যমে তারা প্রজনন মৌসুমেও কাঁকড়া ধরছে ফলে কাঁকড়ার বংশ বিস্তার লোপ পাওয়ার আশাঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা গেছে,কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হচ্ছে জানুয়ারি থেকে মার্চ। এই তিন মাস সুন্দরবন সংলগ্ন নদ নদীতে কাঁকড়া ধরা সম্পূর্ণ বন্দ রাখা হয়। জেলেদের কে দেওয়া হয়না কাঁকড়া ধরার পাস। কিন্তু জেলেরা তা মানছেন না। বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারির সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁরা সারা বছরের জন্য কাঁকড়া ধরা অব্যহত রেখেছে বলে জানা গেছে। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলি, বিনয় পরামানিক ও গোবিন্দ মন্ডল জানান, ডিসেম্বর শেষ সপ্তাহ থেকে বন বিভাগ কাঁকড়া ধরার পাস দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারপর মাছ ধরার পাস নিয়ে বনে ঢুকে শিকার করা হয় কাঁকড়া। কাঁকড়া ধরার কারনে সংশ্লিল্ট ষ্টেশনের কর্মকর্তা কর্মচারিদেরও খুশি রাখতে হয়। কাকড়া ধরার কুফল জেলেদের বলা হয় না। প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া শিকারের বিষয়ে সাতীরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌফিক এলাহী বলেন, ডিসেম্বর থেকে কাঁকড়া ধরার পাস দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। মাছের পাস নিয়ে যাতে কাঁকড়া না ধরতে পাওে সে ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হয়েছে।
বস্তি ও পরিবেশ উন্নয়নে কেসিসি’র আগামী বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবিতে জনউদ্যোগের সংবাদ সম্মেলন
খুলনা অফিস ঃ বস্তির মানুষও এদেশের নাগরিক। তাই তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক যেমন দায়িত্ব । ঠিক তেমনি কেসিসি কর্তৃক সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার দায়িত্বও এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের । অপর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা, সুপেয় পানির অভাব, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অশিা এবং অপরাধী চক্রের আঁকড়া থেকে এদের রা করতে হবে-এভাবে জনউদ্যোগ,খুলনার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন বক্তারা । রোববার দুপুর দেড়টায় কনসেন্স সেমিনার কে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যের মাধ্যেমে ৬দফা উপস্থাপন করেন জনউদ্যোগ ,খুলনার আহবায়ক এড. কুদরত-ই-খুদা । তিনি বলেন, সংবিধানের ২০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ি যে অধিকার রাষ্ট্র দিয়েছে তার বাস্তবায়ন করতে সরকার ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে এক যোগে পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। তাদের উন্নয়নের সাথে মহানগর বাসির উন্নয়ন নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে। তাদের গড়া ইমারত দিয়েই আজ আমরা আমাদের সভ্যতাকে সাজিয়েছি। এজন্য এদের অধিকার বাস্তবায়নে সকলকে কাজ করে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে বস্তির পরিবেশ বিঘœ হলে নগরবাসির পরিবেশ বিঘিœত হবে। অধিক অপরাধের সৃষ্ঠি হবে। লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, এজন্য বস্তির পরিবেশ উন্নয়নের জন্য জাতীয় বাজেটের পাশাপাশি কেসিসি’র আগামী বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। তাদের সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যাবস্থা করতে হবে। শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত মল-মূত্র ত্যাগের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিতে হবে। বিভিন্ন প্রশিনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিতে হবে । সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কনসেন্স’র নির্বাহী পরিচালক সেলিম বুলবুল,পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতি’র মহাসচিব এসএম সোহরাব হোসেন,সমাজসেবক আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদ,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি জগন্নাথ দত্ত,দৈনিক জম্মভূমি’র সিনিয়র রিপোর্টার বিপ্লব চক্রবর্ত্তী,দৈনিক কালবেলার ব্যুরো প্রধান রীতা রানী প্রমুখ।সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেন।
খুলনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ঃ খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও ব্র্যাকের আয়োজনে রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, খুলনা দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। দুর্যোগ আসে হঠাৎ। জীববৈচিত্র ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগের ধরণেরও পরিবর্তন হয়েছে। তিনি দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্র্যাকের কাজের প্রশংসা করে তাদের কাজে জনপ্রতিনিধিদের আরও সংশিষ্ট করার আহ্বান জানান। ব্র্যাকের দুর্যোগ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর অবহিতকরণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. মোঃ আঃ হাকিম। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল আজিজ এবং ব্র্যাকের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মোঃ বদিউজ্জামান। কর্মশালায় দুর্যোগের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। এতে সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি,জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম সংগঠক সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
খুলনায় কমনওয়েলথ দিবস ২০১৩ উপলে আলোচনা সভা সোমবার
ঃ সোমবার কমনওয়েলথ দিবস। দিবসটি পালন উপলে আগামীকাল ১১ মার্চ বয়রা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। আলোচনা সভায় সংশিষ্ট সকলকে অংশগ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসনের প থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
খুলনার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কেসিসি’র প থেকে মেয়র পদক প্রদান করা হবে
ঃ সমাজের বিভিন্ন েেত্র অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বৃহত্তর খুলনার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কেসিসি’র প থেকে আগামী ১৬ মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র পদক-২০১৩ প্রদান করা হবে। ১ টি বিষয়ে ১১জন ব্যক্তি ও ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে মেয়র পদক-২০১৩ প্রদান করা হচ্ছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শেখ আব্দুস সালাম (মরণোত্তর) ও বাংলাদেশ বেতার-খুলনা কেন্দ্র, চিকিৎসায় ডা. আবুল মতলুব চৌধুরী (বুলু চৌধুরী) (মরণোত্তর) ও খুলনা শিশু হাসপাতাল, শিা ও সাহিত্যে অধ্য মোঃ রুহুল আমিন (মরণোত্তর), সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠন-এ মিনা আবিদ শাহরিয়ার (মরণোত্তর) ও খুলনা নাট্য নিকেতন, ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক হিসেবে মহিউদ্দিন আহমেদ গোরা, সমাজসেবা/জনসেবায় রেভাঃ পল মুন্সী (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় শাহাবুদ্দিন আহমেদ, রাজনীতিবিদ হিসেবে মোস্তা গাউছুল হক (মরণোত্তর), ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে আনোয়ার হোসেন, শ্রেষ্ঠ পৌরকর দাতা হিসেবে (শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের েেত্র) খান অহেদুজ্জামান এবং শ্রেষ্ঠ শিা প্রতিষ্ঠান হিসেবে (মাধ্যমিক) এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুল ও খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কেসিসি উইমেন্স কলেজ’কে মনোনীত করা হয়েছে। এ উপলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ফায়েক উজ্জামান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ মোঃ মনিরুজ্জামান খান খোকন, প্যানেল মেয়র-৩ রুমা খাতুন ও হোটেল ক্যাসল সলাম ইন্টারন্যশনাল লিঃ এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এম এ সালাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং স্বাগত বক্তৃতা করবেন কেসিসি’র প্যানেল মেয়র-১ ও মেয়র পদক প্রদান কমিটির আহবায়ক আজমল আহমেদ তপন। হোটেল ক্যাসল সালাম ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এ অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
Category: দেশের খবর