সাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হল কুড়িল ফ্লাইওভার
দেশের খবর: খুলে দেওয়া হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত কুড়িল ফ্লাইওভার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর পরই যান চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
রোববার বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িল ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন। এরপরই এটি সাধারণের যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
রাজধানীর বড় একটি অংশ কুড়িল লেবেল ক্রসিং ও আশপাশের এলাকার যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে কুড়িল ফ্লাইওভার। এটি ব্যবহার করে উত্তরা ও বনানী থেকে সহজেই পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প ও প্রগতি সরণি হয়ে রামপুরার দিকে যাওয়া যাবে। ওই সব এলাকা থেকে বিমানবন্দর, বনানী ও মিরপুরেও সহজে যাতায়াত করা যাবে। বিমানবন্দর সড়ক ঘেঁষে ফ্লাইওভারটি তৈরি হওয়ায় সন্নিহিত এলাকার সৌন্দর্য অনেকাংশে বাড়বে। এটিকে ঘিরে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা, লেক ও সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
কুড়িল ফ্লাইওভার জোয়ার সাহারা মৌজার কুড়িল ইন্টারসেকশন থেকে শুরু হয়ে পূর্বাচল সড়কে গিয়ে শেষ হয়েছে। ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ১০ কিলোমিটার। লুপ আছে ৪টি, পাইল ২৯৪টি, পিয়ার ৬৯টি, পিসি গার্ডার ১০১টি, র্যাম্প ১০টি, ফুটওভার ব্রিজ দু’টি। এছাড়া, বালু নদীর ওপর ১০৮ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে, যা ঢাকার খিলক্ষেতের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জকে যুক্ত করেছে। অভ্যন্তরীণ রাস্তা আছে ১ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার। ফ্লাইওভারের পূর্বদিকে ২০ হাজার ৮০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি লেক তৈরি করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৩০৬ কোটি টাকা।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নিজস্ব অর্থায়নে ফ্লাইওভার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। রাজউককে সহযোগিতা করেছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর।
২০১০ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গত জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা হলেও এক মাস সময় বেশি লেগে গেল এটির উদ্বোধন করতে।
ঈদের মাত্র ৫ দিন আগে নগরবাসীর জন্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে কুড়িল ফ্লাইওভার।
Category: 1stpage, দেশের খবর, ব্রেকিং নিউজ, শীর্ষ সংবাদ