• ১৯ বৈশাখ ,১৪৩১,03 May ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

ম্যার্কেল পাচ্ছেন ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার

| নভেম্বর 22, 2013 | 0 Comments

ইউরো সংবাদ: বিশ্বে অসামান্য নেতৃত্বদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে দেয়া হবে ২০১৩ সালের ইন্দিরা গান্ধী শান্তি, নিরস্ত্রীকরণ ও উন্নয়ন পুরস্কার৷ দুদেশের মৈত্রী সম্পর্ককে দৃঢ় করতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য৷

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর নেতৃত্বে গঠিত এক আন্তর্জাতিক জুরি বিশ্ব শান্তি, নিরস্ত্রীকরণ ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে জার্মান চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে ২০১৩ সালের ইন্দিরা গান্ধী শান্তি, নিরর্স্ত্রীকরণ ও উন্নয়ন পুরস্কার দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ ইন্দিরা গান্ধীর ৯৬-তম জন্মবার্ষিকীতে একথা ঘোষণা করে নতুন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট৷ বলা হয়, বিশ্বের আর্থিক সংকটকালে তিনি যেভাবে জার্মানি তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক হাল ধরেন এবং জার্মানির আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে গতি আনেন, তা এক কথায় দৃষ্টান্তমূলক৷

শুধু কী তাই? ভারত-জার্মান মৈত্রী সম্পর্ককে তিনি নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়৷ ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে বলা হয়, চ্যান্সেলার ম্যারকেল এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণাপত্রে দু’দেশের কৌশলগত সহযোগিতাকে মজবুত করেছে৷ ২০১১ সালে তাঁর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভারত সফর এবং ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ড. সিং-এর বার্লিন সফরে পারস্পরিক আলাপ আলোচনায় ভারতের ‘‘গ্রীন এনার্জি করিডর প্রকল্প” চূড়ান্ত হয়, সম্প্রসারিত হয় আর্থিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা৷

ইন্দিরা গান্ধী শান্তি, নির্স্ত্রীকরণ ও উন্নয়নের জন্য এই পুরস্কার শুরু হয় ১৯৮৬ সালে৷ প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয়া হয় যার অর্থমূল্য ভারতীয় টাকায় ২৫ লাখ৷ প্রথম প্রাপক সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখায়েল গর্ভাচভ৷ গত বছর এই পুরস্কার দেয়া হয় লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইলিয়ান জনসন স্যারলিফকে৷ অন্য যাঁরা পান, তাঁদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ ইউনূস ১৯৯৮ সালে৷ প্রাপকদের মধ্যে ভারতীয় আছেন তিনজন৷ সংস্থা হিসেবে এই পুরস্কার দেয়া হয় ইউনিসেফকে ৮৯ সালে৷

চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেলের জন্ম ১৯৫৪ সালে হামবু্র্গে৷ শিক্ষাগত দিক থেকে তিনি একজন পদার্থবিদ৷ ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়াল ভাঙার পরবর্তীকালে তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ৷ ধীরে ধীরে খ্রিষ্টান ডেমোক্রাটিক ইউনিয়ন দলে নিজের জায়গা করে নিয়ে তিনি হন দলের চেয়ারপার্সন৷ ২০০৫ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর তিনি হন জার্মানির প্রথম মহিলা চ্যান্সেলার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেত্রী৷

উল্লেখ্য, ইন্দিরা গান্ধী তাঁর জীবনকালে মানবিক মূল্যবোধকে বিসর্জন না দিয়ে যেভাবে ভারতীয় রাজনীতির আঙ্গিনায় দাপট দেখিয়ে গেছেন তা উপমহাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ বিশেষ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে৷ শুধু তাই নয়, শেখ মুজিব এবং ইন্দিরা গান্ধী ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বন্ধনকে এক স্থায়ী রূপ দিয়ে গেছেন৷

৮০-এর দশকে পাঞ্জাবের খালিস্থানী জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন মাথা তুলছিল দেখে তা কড়া হাতে দমন করতে তিনি ‘‘ব্লু-স্টার” অভিযান চালাবার আদেশ দেন সেনা বাহিনীকে৷ খালিস্তানি আন্দোলন নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়৷ এ জন্য চরম মূল্য দিতে হয় তাঁকে৷ তাঁরই একজন শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন তিনি৷

Category: 1stpage, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ইউরো-সংবাদ - German

About the Author ()

Leave a Reply