এবার ঋণখেলাপী মামলায় আসামি খালেদা-কোকোর স্ত্রী ও দুই কন্যা
দেশের খবর: এবার ঋণখেলাপী মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েকে আসামি করেছে আদালত।
(সোমবার) সোনালী ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এ মামলায় বিবাদী করেন ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আরা হ্যাপী।
২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
গত ২৪ জানুয়ারি মামলার একজন বিবাদী আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর কারনে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা (খালেদা জিয়া) এবং স্ত্রী শার্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য গত ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক।
সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী হোসনে আরা জানান, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সিভিল মামলায় কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। সে অনুয়ায়ী ৮ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমান ও দুই কন্যাকে আসামি করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়।
এ আগে , ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক পক্ষ থেকে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ রেডিও তেহরানকে জানান, এ মামলায় আরাফাত রহমান কোকোর কোনোরকম সম্পৃক্ততা নেই। অথচ তাকে ৭নং বিবাদী করা হয়েছে। এছাড়া, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও চাপ সৃষ্টির জন্যই এখন বেগম খালেদা জিয়াকে বিবাদীর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে, ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ জাতীয় দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, চলমান আন্দোলনে বেগম জিয়ার অনমনীয় মনোভাবের কারণেই সরকার তাকে এ মামলায় জড়িয়েছে। এর একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামীতে যাতে তাকে ঋণ খেলাপের দায়ে নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা যায়।
অন্যদিকে, বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী ১৩ এপ্রিল আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলাটি কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টের আদেশনামা দাখিলের দিন ধার্য ছিল সোমবার। খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ হাইহোর্টের আদেশনামা দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী মামলাটি সচলের আবেদন করেন।
(সোমবার) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ-২ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ১৩ এপ্রিল বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, ব্রেকিং নিউজ