• ৩ জ্যৈষ্ঠ ,১৪৩১,17 May ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

ঈদের রকমারি কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ: যানজটে ভোগান্তির শেষ নেই

| জুলাই 5, 2015 | 0 Comments

bdদেশের খবর:  ঈদের বাকি আছে আরও দুই সপ্তাহ। এরই মধ্যে ভিড় বেড়ে গেছে মহানগর,শহর ও গঞ্জের  বিপণিবিতানগুলোতে। পোশাকের পাশাপাশি নানান কিছুর কেনাকাটা চলছে।

 ঈদের প্রধান আকর্ষণ নতুন জামা,জুতা,শাড়ী। তা ছাড়াও ফ্যাসনের জন্য বিশেষ পোশাক, চুড়ি, নেইল পালিশ, গহনা, ঘরবাড়ী সাজাবার জিনিষ, নিকটজনদের জন্য উপহার সামগ্রী, মেহমানদারীর জন্য নতুন ক্রোকারিজ,জাকাতের শাড়ী- এসব ছাড়া ঈদ কী করে হয়।

 রোজার শুরু থেকেই পাড়ায় পাড়ায়  বাজারে হাটে দর্জির দোকানগুলোতে ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। কাজ চলে অনেক রাত পর্যন্ত।

 ঈদকে সামনে রেখে বিসিক জামদানী মেলা বসিয়েছে জাতীয় যাদুঘর চত্ত্বরে। তাঁত বস্ত্রের মেলা বসেছে আগারগাওয়ে, মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকায় বসেছে মেয়েদের ত্রি-পিস সুটের বাজার।

 বিপনী বিতানের বাইরে রাস্তার ধারে যেখানে একটু  ফাকা পাচ্ছে সেখানেই মৌসুমী দোকানী আর হকাররা নানা রকমারী পণ্য নিয়ে ঈদের পশরা সাজিয়ে বসেছে।

 ঈদে নিজেকে সাজানোর পাশাপাশি অনেকে ঘর সাজানোর জন্যও নানা সৌখিন সামগ্রী কিনতে বাজারে ঘুরছে। ছোট খাট ফার্নিচার, প্লাস্টিকের নকল ফুল এসবের  দোকানেও ক্রেতা সমাগম বাড়ছে।

 ঈদের আগেই ছুটি হয়ে যাচ্ছে স্কুল কলেজ। তাই বন্ধুদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য ঈদ কার্ড কিনছে কিশোর-কিশেরীরা। প্রিয়জনদের জন্য নানা উপহার সামগ্রীও কিনতে বেরিয়েছে তরুণ-তরুনীরা।

 এমনিতে মাসের প্রথম সপ্তাহে চাকুরীজীবীদের হাতে মাইনের টাকাটা রয়েছে। অন্যদিকে  আজ ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই সর্বত্রই ছিল উপচে পড়া ভীড়।

 আর এ কারণেই যানজটের ফাঁদে আটকে গেছে পুরো ঢাকা শহর। এর সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। সব মিলিয়ে অস্থির ছুটোছুটি ছিল নগরজুড়ে।

 যান-জনতার এতটাই চাপ যে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাজপথে থেকেও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যাওয়া যাচ্ছে না। বাস-গাড়ির চাকা ঘুরছে না, আর ঘুরলেও চাকার গতি ছিল শ্লথ।

 ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, বেলা ১২টা থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। আর এতে করে অনেকটাই অচল হয়ে যায় নিউ মার্কেট, বসুন্ধরার শপিং সেন্টারের সামনের এবং আশেপাশের সড়কগুলো। এসব এলাকার যানজট ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।

 নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোডের যানবাহনের চাপে শাহবাগ, ধানমন্ডির সড়কগুলোতে যানজট হয়। একইভাবে বসুন্ধরা শপিং সেন্টারের সামনে যানজটের কারণে একদিকে ফার্মগেট অন্যদিকে রূপসী বাংলা হোটেলের সামনে সৃষ্টি হয় গাড়ির দীর্ঘ লাইন।

 তবে ঈদের বাজারে কেনাকাটার ভীড়ে অনেকেরই যাবার সুয়োগ ছিলনা। বিশেষ করে যাদের হাতে পয়সা নেই, বেতন নেই বা চাকুরীও নেই।

 গতকালও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে বেতন-বোনাসের দাবি অবস্থান করেছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। আশুলিয়ার শিল্পঞ্চলেও  বিক্ষোভ করেছে তারা।

 ওদিকে, ঈদে বাড়ী ফেরার জন্য  বাস-ট্রেনের আগাম টিকেট সংগ্রহ করতে নেমে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

 রাজধানীর বিভিন্ন দূরপাল্লার বাসকাউন্টারগুলোতে সকাল  থেকেই  লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে অনেক মানুষকে। গাবতলী , সায়েদাবাদ, মহাখালি  আন্ত-জেলা বাস টার্মিনাল ছাড়াও শ্যামলী কলাবাগন,  অরামবাগ  বা রাজারবাগের বাস কাউন্টারে  ভিড় ছিল প্রচুর। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, ভোগান্তি সয়ে কেউ কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিট পেয়েছেন।কেউ পাননি। যারা পেয়েছেন তাদের অনেকে অভিযোগ করলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে টিকেট কিনতে হয়েছে।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply