• ২১ বৈশাখ ,১৪৩১,04 May ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

আয়লান কুর্দীর মরদেহ ও ইউরোপের শরণার্থী সমস্যা

| সেপ্টেম্বর 4, 2015 | 0 Comments

150903150259_aylan_newspaper__640x360_bbc_nocreditআন্তর্জাতিক: তুরস্কের উপকূলে একটি শিশুর মরদেহ পড়ে থাকার ছবি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তীব্র আলোড়ন তুলেছে। ইউরোপের শরণার্থী সংকট কতটা গভীর এই ছবি সেটিই জানান দিচ্ছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে সমুদ্র সৈকতে লাল জামা গায়ে একটি ছোট শিশুর নিথর দেহ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। তুরস্কের বদ্রুম উপকূলে সাগর সৈকত থেকে এই ছবি তুলেছে সে দেশের একটি বার্তা সংস্থা। এই ছবি বিশ্বজুড়ে অনেকের মাঝে বেদনা তৈরি করেছে।

এই শিশুর নাম আয়লান কুর্দি। পাঁচ বছর বয়স তার। নৌকাডুবির পর আয়লান কুর্দির মরদেহ সৈকতে ভেসে এসেছে।তুর্কী কোস্ট গার্ড জানাচ্ছে, সিরিয়া থেকে আসা একদল শরণার্থী তুরস্ক হয়ে গতকাল গ্রিসের কস্ দ্বীপে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু যাত্রাপথে সাগরে নৌকাডুবিতে ১২ জন মারা যায়। পাঁচ বছর বয়সী আয়লান কুর্দি ছিল সেই দলে। নৌকা ডুবিতে সে তার মায়ের সাথে প্রাণ হারায়।

বিবিসির সংবাদদাতা রিচার্ড গ্যালপিন খবর দিচ্ছেন, এই শিশুটির এক খালা থাকেন ক্যানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে। তিনি জানাচ্ছেন যে এই পরিবারটি সিরিয়ার কোবানে শহরে থাকতো। সেখানে আইএস জঙ্গীদলের সাথে সরকারি বাহিনীর লড়াই শুরু হওয়ার পর তারা পালিয়ে তুরস্কে আসে।

সেখান থেকে ক্যানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে কর্তৃপক্ষ তাদের শরণার্থী আবেদন নাকচ করে দেয়। এরপর এরা তুরস্ক থেকে গ্রিসে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল।নৌকাডুবিতে পরিবারটি ১২ জন সদস্য মারা গেছেন। শুধু গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে শিশুটির বাবা।

মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে সিরিয়া থেকে, স্রোতের মত ঢোকা অভিবাসীদের নিয়ে কি করা হবে, কিভাবে পরিস্তিতি সামাল দেয়া যাবে — তা নিয়ে চরম মতভেদ তৈরি হয়েছে ইউরোপে।কিন্তু এই সব বাদানুবাদ ছাপিয়ে আয়লান কুর্দির মৃতদেহের ছবি বিশ্বজুড়ে গভীর আবেগের জন্ম দিয়েছে।

আয়লান কুর্দির নিথর দেহের ছবি ব্রিটেন সহ ইউরোপের সব দেশের সংবাদপত্র, টিভিতে ব্যাপক প্রচার পাচ্ছে। এই একটি ছবি যেন চলমান এই শরণার্থী সঙ্কটের ভয়াবহ এবং করুণ চিত্রটি সামনে তুলে ধরেছে।

এদিকে শরণার্থি সংকট হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী সরাসরি জার্মানিকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন অভিবাসী নিয়ে জার্মানির উদার নীতি বিশৃঙ্খলার জন্ম দিচ্ছে। কারণ সবাই শুধু জার্মানিতে যেতে চাইছে।

অন্যদিকে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট  ব্রাসেলসে প্রস্তাব করেছেন এক লক্ষ শরণার্থীকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকে ভাগ করে নিতে হবে।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, আন্তর্জাতিক

About the Author ()

Leave a Reply