• ২৭ বৈশাখ ,১৪৩১,10 May ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

শেষ বলে নাটকীয় জয় পেল তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংস

| নভেম্বর 23, 2015 | 0 Comments

126208_1স্পোর্টস: নির্ধারিত ওভারের শেষ বলে নাটকীয় জয় পেল তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংস। জয়ের বন্দরে এসেও তরী ভিড়াতে পারেনি মুশফিকের সিলেট সুপারস্টার্স।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিলো ৯ রানের। মোহাম্মদ আমিরের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং। শেষ বলে তাই জয়ের জন্য সিলেট সুপারস্টার্সের প্রয়োজন রইল ৩ রানের।

আমিরের শেষ বলটিকে আর জয়ের রানের রূপান্তর করতে পারলেন না সিলেটের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মাত্র ১ রান এল সেখান থেকে।
শেষ বলে তাই নাটকীয়ভাবে ১ রানের জয় নিয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে তামিম ইকবালের দল চিটাগাং ভাইকিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় সংগ্রহ গড়েছে চিটাগাং ভাইকিংস।

সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে দলটি মুখোমুখি হয়েছে সিলেট সুপারস্টার্সের। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করেছে ১৮০ রান।

অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও ওয়ান ডাউনে নামা ইয়াসির আলীর হাফসেঞ্চুরির ওপর ভর করে এই সংগ্রহ গড়েছে চিটাগাং ভাইকিংস। তামিম করেছেন ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৬৯ রান। এতে ছিলো ৬ বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা। অন্যদিকে ১ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ইয়াসির করেছেন ৫২ বলে ৬৩ রান।

সিলেটের বিদেশি খেলোয়াড়দের অনাপত্তিপত্র সংক্রান্ত জটিলতায় নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা ৬ মিনিট পর শুরু হয়েছে বিপিএলের এই ম্যাচটি।

ভাইকিংসের পক্ষে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছেন তামিম ও শ্রীলঙ্কান তারকা তিলকরত্নে দিলশান। দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ভাইকিংস। নিজের প্রথম বল মোকাবেলা করেই সিলেট সুপারস্টার্সের পেসার শুভাশীষ রায়ের বলে আউট হয়েছেন দিলশান। তবে তামিম ছিলেন আক্রমণাত্মক। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ড্যাশিং ওপেনার।

তামিম ও ইয়াসির ছাড়া চিটাগাং ভাইকিংসের উল্লেখযোগ্য রানের মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার জীবন মেন্ডিসের ১১ বলে ২০ রান এবং জিয়াউর রহমানের ৭ বলে হার না মানা ১৫ রান।

সিলেট সুপারস্টার্সের পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শহিদ, শুভাশীষ রায়, অজান্তা মেন্ডিস ও নাজমুল ইসলাম।

জয়ের লক্ষ্য (১৮১ রান) তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে মোহাম্মদ আমিরের বলে সুবিধা করতে পারেনি সিলেটের দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি ও শ্রীলঙ্কার দিলশান মুনাবিরা।

তবে দ্বিতীয় ওভারে তিলকরত্নে দিলাশানের ৬ বলে ৬ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মুনাবিরা সিলেটকে দিয়েছেন ভরসা। তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ ম্যাচের ভাগ্য সিলেটের অনুকূলে ছিল। মাত্র ৩০ বলে ১ ছক্কা ও ১৩ বাউন্ডারিতে ৬৪ রান করে আউট হয়েছেন মুনাবিরা। এরপর সিলেটের ব্যাটিং বিপর্যয়; দ্রুত উইকেটের পতন।

তবে হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৩৪ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত ছিলেনও। সঙ্গে ২০ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে নুরুল হাসান দলের জয়ের পথ সহজ করেছিলেন। কিন্তু দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা সেই পথে হাঁটতে না পারায় ১ রানের হার মেনে নিতে হয়েছে মুশফিকের দলকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করতে সক্ষম হয়েছে তারা।

সিলেটের পক্ষে শফিউল ইসলাম ৩টি ও সাঈদ আজমল ২ উইকেট নিয়ছেন। আমির কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়েছেন। যা শেষ অব্দি দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।

এর আগে বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে (রবিবার) রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও ১৮৭ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল তামিমের দল। কিন্তু ম্যাচটি তারা হেরেছে ২ উইকেটে। সিলেট সুপারস্টার্সের বিপক্ষেও হারের সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল। শেষ অব্দি অবশ্য জয়ের আনন্দেই মাতার সুযোগ পেয়েছে তামিমের দল।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, স্পোর্টস

About the Author ()

Leave a Reply