বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস স্মরণেঃ হল্যান্ড আওয়ামী লীগ
ইউরোবিডি কমিউনিটি সংবাদ: হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ, ঐতিহাসিক ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে-গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ আরও বলেনঃ আজ থেকে ৪৩ বছর পূর্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে পাকিস্তানী শাসকগোষ্টীর কারাগার থেকে ৩রা জানুয়ারী ১৯৭২, মুক্তি পেয়ে, আজকের এইদিনেই অর্থাৎ ১০ই জানুয়ারী ‘বঙ্গবন্ধু’ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তাই আজকের এই দিনটি বাঙ্গালী জাতির জীবনে অতিশয় মূল্যবান, গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবহ দিন।
নেতারা বলেন, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসের অধিক যিনি আমাদের মাঝে সশরীরে উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও তাঁর নামেই মহান ‘মুক্তিযুদ্ধ’ হয়েছে। তাঁর নামেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। যিনি উপস্থিত না থেকেও ‘স্বাধীনতাযুদ্ধে’ আমাদের মাঝে সক্রিয় প্রেরণা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা যুগিয়েছেন। ২৬শে মার্চ থেকে ১৬ই ডিসেম্বর, চুড়ান্ত বিজয় অর্জন পর্যন্ত যার প্রভাব প্রতিনিয়ত বাঙ্গালী জাতির অন্তরে বিদ্যমান ছিল। দেশমাতৃকার সেই সেরা সন্তান, বাঙলার হত-দরিদ্র, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের অবিসংবাদিত নেতা, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে’র মহানায়ক ‘বঙ্গবন্ধু’ বন্দীদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, লন্ডন হয়ে আজকের এইদিনে রক্তস্নাত ‘স্বাধীন বাংলাদেশে’ ফিরে আসেন বিজয়ের মালা পরে। ‘বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় এক ‘সাগর রক্তে’র বিনিময়ে অর্জিত ‘স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়’। এ কারণেই বাংলাদেশের ইতিহাসে আজকের দিনটি অবিস্মরণীয় হয়ে আছে, থাকবে চিরদিন।
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে-হল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আরও বলেনঃ ২৬শে মার্চ ১৯৭১, প্রথম প্রহরে ‘বঙ্গবন্ধু’ আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরেই পাক বাহিনী ‘বঙ্গবন্ধু’কে গ্রেফতার করে, পাকিস্তানে নিয়ে যায়। সেখানে ‘বঙ্গবন্ধু’কে ফাঁসির আদেশও দেওয়া হয়। এমনকি কবর খুঁদেও তাঁকে দেখানো হয়। তবুও বাঙ্গালী জাতির সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। সীমাহীন নির্যাতনের পরেও ‘বঙ্গবন্ধু’ বাঙ্গালী জাতির অধিকার আদায়ে ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সিদ্ধান্তে অটুট ছিলেন। লাখো শহীদে’র রক্তস্নাত স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম পা রেখেই আজকের দিনে-সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো জনতার মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু’ ঘোষণা করেছিলেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও আমি বাঙ্গালী জাতির এই ভালোবাসার ‘ঋণ শোধ’ করে যাবো’। এই স্বাধীন দেশের মাটিতেই ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫, সপরিবারে ‘বঙ্গবন্ধু’ নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে তাঁর কথা তিনি রেখে গেছেন।
যারা ‘বঙ্গবন্ধু’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মেনে নিতে পারেনি, সেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরাই ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫, ‘বঙ্গবন্ধু’কে সপরিবারে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে, ‘৭১-এর প্রতিশোধ নিয়েছে। ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে-জাতির জনক ‘বঙ্গবন্ধু’র প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে-তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন, হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, আজকের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আমাদের ‘শপথ হোক’ ‘বঙ্গবন্ধু’র আদর্শে ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়-উজ্জীবিত এবং সুদৃঢ় থেকে-ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে রচিত ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানবিরোধী’ ষড়যন্ত্রকারী ‘কুলাঙ্গা’র এবং তাদের দোসর স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী গোষ্টী জামায়াত-শিবির ও রাজাকারমুক্ত ‘বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে-বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবো।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনঃ হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মাঈদ ফারুক, সহ-সভাপতি এমদাদ হোসেন, এমরান হোসেন, জাকিরুল হক টিপু, সন্দীপ কুমার দাস, আবরার হোসেন শামীম, নান্টু মৃধা ও টুকু খান, উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য জনাব মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান ও শ্যামল শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবদীন, রশীদ রানা ও জসিম উদ্দিন, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক বিষ্ণু বিস্বাস, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল বাবুল, যুব ক্রীড়া সম্পাদক শামীম আক্রাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নীপু দাশ ও কোষাধ্যক্ষ লক্ষন সরকার প্রমুখ।প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
Category: Scroll_Head_Line, ইউরোবিডি কমিউনিটি সংবাদ