• ৮ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,23 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

বাংলাদেশী মালিকানায় আষ্ট্রেলিয়ায় প্রথম চাইল্ড কেয়ার “স্টার কিডস” এর নিজস্ব ভবনে যাত্রা শুরু

| জানুয়ারী 31, 2016 | 0 Comments

71বিশ্বজুড়ে বাংলা: প্রবাসে সাধারনত মা বাবা দুজনকেই কর্মব্যাস্ত সময় অতিবাহীত করতে হয়। তবে একজন বাবার তুলনায় একজন মাকে অনেক বেশিই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। বিশেষ করে মাতৃত্বকালীন। চাকরিজীবী মায়েদের মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে আবার কর্মস্হলে ফেরার পর সবচেয়ে বড় বেশি দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় তার কোলের ছোট্ট বাচ্চার যত্ন এবং নিরাপত্তা নিয়ে। একদিকে চাকুরী আর অন্যদিকে তার আদরের ছোট্ট বাচ্চাটি। এসব নিয়ে কমবেশি নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় কর্মজীবী মায়েদের । আর এসব মা বাবার কথা চিন্তা করে তাদের সুবিধার্থে গত কয়েকবছর ধরে তিলে তিলে তিলে কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে ল্যাকেম্বায় তৈরী হয়েছিল বাংলাদেশী মালিকানায় প্রথম চাইল্ড কেয়ার স্টার কিডস।

একটি সৃষ্টির পিছনের গল্প অনেক কষ্টের, নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সে সৃস্টি যখন পূর্নতা লাভ করে, তখন সৃষ্টিশীলতার সাথে জড়িত ব্যক্তি বর্গ আনন্দের ঢেঁকুর তুলতেই পারে- অবশ্য সে সৃস্টি কর্ম যদি সকলের উপকারে আসে। স্টার কিডস চাইল্ড কেয়ার তেমন একটি অন্যরকম সৃষ্টি।

স্টার কিডস চাইল্ড কেয়ারে আছেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশু প্রতিপালক। তারা সারাদিন বাচ্চাদের চোখে চোখে রাখেন। বাচ্চাদের খাওয়া, গোসল করা,বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করা এবং ঘুম পাড়ানো ইত্যাদি বিষয় সবটাই তারা করে থাকেন। আবার সেখানে কয়েকজন শিক্ষিকাও থাকেন। তারা স্কুলের জন্যও বাচ্চাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে গড়ে তোলেন। ল্যাকেম্বায় ৬৭ কলিন স্ট্রিট এ স্টার কিডস চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের মনোরম ক্যাম্পাসটি অবস্হিত। ভিতরে প্রবেশ করে দেখা যায় সকল ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ম মেনে তৈরী করা হয়েছে এর সকল উপকরনদি, যা সত্যিই পরিপূর্ণ চাইল্ড কেয়ার হওয়ার জন্য যথেষ্ট। সোনামনিদের শিক্ষা উপকরনের সাথে সংযোজন করা হয়েছে নানা আনন্দের আয়োজন। তাছাড়া রয়েছে চাইল্ড কেয়ারের পিছনে বাচ্চাদের খেলাধূলার সুব্যাবস্হা।

কীভাবে শিশুদের রাখা হয় :

বাচ্চাদের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট রুটিন। সেটা শতভাগ মেনে চলা হয় এখানে। রুটিনমাফিক সবাই একসঙ্গে খায়, একসঙ্গে খেলাধুলা করে, নানা বিষয়ে গ্রুপ ওয়ার্ক করে। যার ফলে বাচ্চাদের একে অন্যের সাথে যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। প্রশিক্ষিত শিক্ষিকারা বাচ্চাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য তাদের নিয়ে বিশেষ কিছু কাজ করেন। তাদেরকে বিভিন্ন রকম শিক্ষামূলক গল্প-কবিতা পড়ে শোনান। তারা বাচ্চাদের বিভিন্ন দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এই চাইল্ড কেয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন দিক হচ্ছে এখানে প্রি স্কুল লারনি্ং সুবিধা, যে শিক্ষনের মাধ্যমে একটা বাচ্চাকে স্কুলের জন্য পরিপূর্ণভাবে গড়ে তোলা হয়।

বাচ্চার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যাব্স্হা :

স্টার কিডস চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের বাচ্চার নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চত করা হয়। কর্মজীবী বাব মায়েরা তাদের বাচ্চাকে নিশ্চিন্তে রাখতে পারে। স্টার কিডস চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের কর্মীরা বাচ্চাদের বেড়ে ওঠা নিয়ে কয়েক ধাপে কাজ করে থাকেন। যেমন শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের উন্নতি ঘটানো, ভাষার পরিপক্বতা আনা, শারীরিকভাবে গড়ে তোলা, বাচ্চার আবেগ ও মানসিক গুণাবলির দিকে লক্ষ্য রাখা। সর্বোপরি বাচ্চার বুদ্ধিমত্তার প্রসার ঘটানো। এছাড়াও বাচ্চাদের পরিচ্ছন্ন রাখা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা করা, বাচ্চাদের সুষম খাবার প্রদান করা এবং ইনডোর নানা খেলাধুলা ও চিত্তবিনোদনের ব্যাবস্হা করে থাকে। সব মিলিয়ে বাচ্চারা ঘরোয়া পরিবেশ থেকে যেন একটু বেশি পেয়ে থাকে সেই প্রচেষ্টাই করা হয়। আর নিরাপত্তার দিক থেকেও তাই।

কতক্ষণ রাখা যাবে :

স্টার কিডস চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের মূলত বাচ্চাদের দিবাকালীন সেবাটাই দেওয়া হয়ে থাকে। দিনের অফিস সময়টাতে মা বাবরা বাচ্চা রাখতে পারবে। সাড়ে ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।

কোন বয়সের শিশুদের রাখা হয় :

স্টার কিডস চাইল্ড কেয়ারের মূলত জন্মের দিন থেকে ছয় বছরের শিশুদের রাখা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানির সিইও হচ্ছেন কমিউনিটির প্রিয়মুখ,সদালাপী খাইরুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ ও আষ্ট্রেলিয়া থেকে শিক্ষকতার উপর উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহন করে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় জড়িত ছিলেন। একান্ত আলাপচারিতায় তিনি জানান, সম্পূর্ন সেবার মন নিয়ে নিরলস পরিশ্রম মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। তিনি প্রবাসী সকল মা বাবাকে স্টার কিডস চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের পরিদর্শনের আমন্ত্রন জানিয়ে বলেন ” শীঘ্রই যেহেতু স্টার কিডস তাদের নিজস্ব ভবনে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করবে, তাই আর দেরী না করে যারা তাদের বাচ্চাদের স্টার কিডস চাইল্ড কেয়ার ভর্তি করানোর ইচ্ছা পোষন করেছেন, তারা যেন অতিসত্ত্বর অফিসে যোগাযোগ করেন।

Category: Scroll_Head_Line, বিশ্বজুড়ে বাংলা

About the Author ()

Leave a Reply