আজকের খুলনা, ০১মার্চ -২০১৩ (শুক্রবার),এম শিমুল খান, খুলনা অফিস
খুলনা ০১মার্চ -২০১৩ (শুক্রবার), এম শিমুল খান, খুলনা অফিস
খুলনায় অগ্নিকান্ডে সাবেক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
ঃ খুলনা মহানগরীর ছোট বয়রা পূজো খোলা এলাকায় শুক্রবার বিকেল ৫টায় এক অগ্নিকান্ডে সাবেক পুলিশ সদস্য রমেশ চন্দ্র (৫৯) মারা যান। পুলিশ জানায়, তার বাড়ির রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে টিনের একটি বড় ঘর পুড়ে যায়। এতে নগদ টাকাসহ প্রায় লাধিক টাকার য়তি হয়। এ সময় বাড়ির মালিক সাবেক পুলিশ সদস্য রমেশ ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পুলিশ সদস্যের দগ্ধ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৪৫তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
:খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৪৫তম সাধারণ সভা শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা নগর ভবনের সভা কে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডুমুরিয়া উপজেলার চকমথুরাবাদ মৌজায় আধুনিক কসাইখানা নির্মাণের ল্েয জমি অধিগ্রহণ সহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, মশক নিধন কার্যক্রম জোরদারকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিকরণসহ বেশ কিছু জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খুলনা মহানগরীর ঐতিহাসিক এবং নান্দনিক স্থাপনা সমূহ সংরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্থাপনাগুলি হচ্ছে জিলা স্কুল ভবন, জোড়া শিব মন্দির, বিএল কলেজের ছাত্রাবাস (জোহা হল), শশীভূষন স্কুল ভবন, জেলা প্রশাসকের পুলিশ কোয়ার্টার ও খুলনা সদর হাসপাতালের মূল ভবন। সভায় উপস্থিত কেডিএ’র নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাসুদ হোসেন, এনডিসি, পিএসসি’কে শুভেচ্ছা জানানো হয়। কেডিএ’র চেয়ারম্যান খুলনা উন্নয়নের স্বার্থে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কর্মসূচীর সাথে সংগতি রেখে কেডিএ’র প্রকল্প বাস্তবায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেন। সভার সভাপতি কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনার সার্বিক উন্নয়নে কেসিসি ও কেডিএ’র সমন্বিত কর্মসূচী গ্রহণ এবং উভয় সংস্থার সমঝোতার ভিত্তিতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সভায় কেসিসি’র প্যানেল মেয়র-১ আজমল আহমেদ তপন, প্যানেল মেয়র-২ মোঃ মনিরুজ্জামান খান খোকন, প্যানেল মেয়র-৩ রুমা খাতুন সহ কেসিসি’র কাউন্সিলর, সংরতি আসনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মানবতা বিরোধী সাঈদীর ফাঁসির রায়ে বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে—-খুলনা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ
ঃ মানবাত বিরোধী যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর ফাঁসির রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে। অবিলম্বে সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। একই সাথে ধর্ম ভিত্তিক সকল রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। দেশের মানুষ আজ তাকিয়ে আছে আদালতের দিকে। বাকী সকল যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। তার জন্য যতবড় বাঁধা আসুক না কেন সে বাঁধাকে প্রতিহত করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভঅবে কাজে করে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, মনে রাখতে হবে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, যুদ্ধাপরাধীদের মদদপুষ্ট জামায়াত-শিবির এই বিচার কার্যক্রমকে পন্ড করতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, সেই নৈরাজ্যকে শক্তহাতে প্রতিহত করতে হবে। শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের মিছিল পরবর্তী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজানের পরিচালনায় মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, অসিত বরন বিশ্বাস, এ্যাডঃ রজব আলী, এম ডি এ বাবুল রানা, এ্যাডঃ আইয়ুব আলী, প্রফেসর আলমগীর কবির, শ্যামল সিংহ রায়, অধ্য শহিদুল হক মিন্টু মোঃ মাহবুব আলম সোহাগ, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ন্যাপ নেতা তপন কুমার রায়, প্যানেল মেয়র আজমল আহমেদ তপন, এ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম, ন্যাপ নেতা দিপক কর, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা মফিজুল ইসলাম, এস এম ফারুক, মনির আহমেদ, আব্দুস সাত্তার ভূইয়া, শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদ মিলন, বি এম জাফর, শেখ পীর আলী, হাবিবুর রহমান দুলাল, যুবলীগ নেতা এ্যাডঃ সরদার আনিচুর রহমান পপলু, কামরুজ্জামান জামাল, মনিরুজ্জামান সাগর, মনিরুজ্জামান মনি, হাফেজ মোঃ শামীম, এ বি এম কামরুজ্জামান, চৌধুরী রায়হান ফরিদ, শেখ মোঃ আবু হানিফ, শফিকুর রহমান পলাশ, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, আবুল হোসেন, রাশিদুজ্জামান রিপন, নিভানা পারভীন, মোঃ শিহাব উদ্দিন, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, ছাত্রলীগ নেতা দেব দুলাল বাড়ৈই বাপ্পি, আরাফাত হোসেন পল্টু, সহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বিকাল ৩টায় নির্দলীয় গণমঞ্চের কর্মসূচির অংশ হিসেবে গল্লামারী বধ্যভূমিতে ২৬, ২৭, ২৪, ২৫, ২০, ১৯, ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে অংশ গ্রহন করে।
খুলনা কেইউজে’র নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে আ’লীগের শুভেচ্ছা ঃ
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এর নির্বাচনে দৈনিক পূর্বাঞ্চলের ফটো সাংবাদিক আনোয়ারুল ইসলাম কাজল সভাপতি, অর্থনীতি প্রতিদিন ও মোহনা টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান সাধারন সম্পাদক, বণিক বার্তার রির্পোটার কাজী শামীম আহমেদ যুগ্ম সম্পাদক, পূর্বাঞ্চলের সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট কোষাধ্য, দণিাঞ্চল প্রতিদিনের আব্দুল মালেক সহ সভাপতি, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক কৌশিক দে ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের শামসুজ্জামান শাহীন সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক হুইপ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি দেব দুলাল বাড়ৈই বাপ্পি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আরাফাত হোসেন পল্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান সাগর, কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন।
খুলনায় ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়(ঢাবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী শুক্রবার খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনায় অবস্থানরত ঢাবির প্রাক্তন শিার্থীরা এই পুনর্মিলনীতে অংশ নিয়েছিল। পুনর্মিলনীতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল জলিল সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার সকাল ৯টা হতে শুরু হওয়া পুনর্মিলনীতে ছিল শুভেচ্ছা বিনিময়, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও র্যাফেল ড্র। ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন খুলনা ইউনিটের সদস্য সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪০০’শ অতিক্রম করেছে। সদস্যদের পরিবার ও সন্তানসহ পুনর্মিলনীতে প্রায় ৫ শতাধিক সদস্য অংশ নিয়েছিল।
তীব্র নিন্দা খুলনা জামাতের
মিছিলে নির্বিচারে পুলিশের গুলিতে জামায়াতের ৩৩জন নেতাকর্মী নিহত ও গণগ্রেফতার
ঃ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ফাঁসির মিথ্যা রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুপুরে জনতার মিছিলে পুলিশের নির্বিচারে গুলিতে জামায়াতের ৩৩জন নেতাকর্মীর নিহত এবং হরতালে নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন ও গণগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মহানগরী জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হরতালে পুলিশের অব্যাহত গুলিতে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। অসংখ্য কর্মী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সরকার দিশেহারা হয়ে পুলিশ বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করে বিরোধী দলের ওপর বেপরোয়া ভাবে গুলী বর্ষণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। ইতঃপূর্বে দিনাজপুর, জয়পুরহাট, বগুড়া, চট্টগ্রাম,গাইবান্দা, ঠাকুরগাঁও, ফরিদপুর, সাতীরা, রংপুর, নোয়াখালি, সিরাজগঞ্জ, সাতদকানিয়া, মৌলিভি বাজার, কক্সবাজার, ঝিনাইদহসহ সারাদেশে পুলিশ গুলী চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা করেছে। ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীদের গায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলী করা হচ্ছে। তাছাড়া রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, নীলফামারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বেপরোয়াভাবে গুলী বর্ষণ করেছে। পুলিশের গুলীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের শহস্রধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শহস্রাধিক নেতা কর্মীকে। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩০ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের একজন নেতাকে ধরে হাটুর বাটি ভেঙ্গে ফেলেছে। দেশে আইন, আদালত বিচার বলতে কিছু নেই। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই গুলী চালিয়ে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। বিবৃতি দাতারা হলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন এবং মাষ্টার শফিকুল আলম, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী এ্যাডঃ মুহাম্মদ শাহ আলম, খান গোলাম রসূল, এ্যাডঃ শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল প্রমূখ। তাছাড়া সোনাডাঙ্গা থানায় ১৭,১৮ ও ২৫ এবং ২২,২৩,২৮ ও ২৯ ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন মহল্লায় মহল্লায় বিােভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
৫দিন ব্যাপী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে খুবি ভিসি
দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা বৃদ্ধিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে
ঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ফায়েক উজ্জামান বলেছেন, আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন আমাদের নতুন প্রজন্মকে নিজস্ব তাকে, স্বকীয়তাকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে দেশীয় সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া এবং দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা বৃদ্ধিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কে ৫দিন ব্যাপী বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার চর্চার আহ্বান জানান। তিনি এ ব্যাপারে সকলের উদ্যোগী ভূমিকা পালনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, সরকারের একার পে এ কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। পার্বণ এর সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ফায়েক উজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিাবিদ অধ্য জাফর ইমাম। বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থান করেন অধ্যাপক শঙ্কর মল্লিক। স্বাগত বক্তৃতা করেন পার্বণ এর নির্বাহী সদস্য এ কে হিরু এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পার্বণ এর কোষাধ্য মিজানুর রহমান পান্না। পরে লোকনৃত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশ করে আব্বাস উদ্দিন একাডেমী এবং রূপান্তর থিয়েটার।
খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন স্থগিত
ঃ খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন স্থগিত। মোট প্রার্থীর একটি বড় অংশ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণায় অনেকটা একতরফা খুলনার ক্রীড়াঙ্গনের সব থেকে বড় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। কিন্তু বৃহস্পতিবার সারাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় কারণে অবশেষে এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়। নির্বাচনে সহ-সভাপতি ৩টি পদের জন্য ৪ জন, সাধারণ সম্পাদক ১টি পদের জন্য ২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ১টি পদের জন্য ৩ জন, যুগ্ম-স¤পাদক ২টি পদের জন্য ৫ জন, কোষাধ্য ১টি পদের জন্য ২ জন, সদস্য ১২ টি পদের জন্য ২৭ জন, সংরতি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ২ টি সদস্য পদের জন্য ৩ জন এবং সংরতি মহিলা সদস্য ২ টি পদের জন্য ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। যদিও ৪৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৪ জনই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সংস্থার ভোটার সংখ্যা ২৩৮ জন। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এম এম আরিফ পাশা। নির্বাচক কমিশনের অপর দুই সদস্য হচ্ছেন তথ্য কর্মকর্তা গাজী জাকির হোসেন।
খুলনায় শহীদ সাংবাদিক হারুন-অর-রশিদ খোকনের মৃত্যু বার্ষিকী শনিবার
ঃ খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও খুলনা প্রেসকাবের সাবেক সহ সভাপতি হারুন-অর-রশিদ খোকনের মৃত্যু বার্ষিকী উপল্েয শনিবার সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে শনিবার সকাল ১০টায় সাংবাদিক স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন। সকাল সাড়ে ১০টায় ইউনিয়ন কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখিত কর্মসূচীতে ইউনিয়নের সকল সদস্যদেরকে যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, সাধারন সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
খুলনায় শিল্পী আবিদ উৎসব উৎযাপিত
ঃ খুলনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রয়াত উদীয় মান রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী মিনা আবিদ শাহরিয়ার বাপী স্মরণে ‘আবিদ উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিল্পী আবিদ স্মৃতি পরিষদ খুলনা মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খুলনা সিটি মেয়র শুক্রবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসবের উদ্বোধন করেন। সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট ময়ীনউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে উৎসবে বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ফায়েকউজ্জামান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য হাফিজুর রহমান ভুঁইয়া, শিাবিদ অচিন্ত্য কুমার ভৌমিক, আবিদের দাদা মিনা শামসুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল কাউয়ূম, কবি দুখু বাঙাল, আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান পপলু। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কবি দুখু বাঙাল, আবিদের জীবনী পাঠ করে স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আবিদের বাবা মিনা মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেহানা সুলতানা রীনা ও এম এম সাজ্জাত আলী। অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যামকে শিল্পী আবিদ সম্মাননা প্রদান করা হয়। উৎসবে বক্তারা আবিদের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, আবিদ ছিলো সঙ্গীত জগতের নতুন রাজপুত্র। মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার এ শিল্পী আমৃত্যু দেশ ও দেশের মানুষের জন্য গান করেছে। দেশের বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে তাঁর অনুপস্থিতি বার বার অনুভূত হয়। কিন্তু তারপরও ও এদেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে গানে গানে বেঁচে থাকবে। প্রসঙ্গত দু’দিনব্যাপী উৎসবটি বর্তমান প্রোপটের কারণে এক দিনেই শেষ করা হয়।
খুলনায় জামায়াতের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরও তাকে ফাঁসির রায় দেয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে জামায়াত-শিবিরের বিােভ মিছিলে নির্বিচারে পুলিশের গুলিতে ৬০ থেকে ৭০জন নেতাকর্মীর শাহাদৎবরণ করে। শুক্রবার তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানরগরী এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহিফল পরিচালনা করেন খুলনা মহানগরীর নায়েবে আমীর মাষ্টার শফিকুল আলম। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খালিশপুর থানা আমীর কে এম রায়হানুল হক, মোঃ কামাল হোসেন প্রমুখ। দোয়া মাহফিলে মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও সকলকে শহীদী মর্যাদা দান করে জান্নাতে নছিব করার দোয়া কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
খুলনায় জামায়াতের জরুরী বৈঠকে নেতৃবৃন্দ
প্রহসন মুলক বিচার করে মাওলানা সাঈদীর ফাঁসির আদেশ জনগন মেনে নেবে না
ঃ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর তথাকথিত ট্রাইবুনালের ফাঁসির রায় ঘোষনা ও রায় পরবর্তীতে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর বিােভ মিছিলে পুলিশের গুলি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। গতকাল শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত জরূরী বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে কোনো বিচার জনগন মেনে নেবে না। ১৯৫ জন চিহ্নিত অপরাধীর বিচার না করে একবার আপনারা জাতির কপালে কলঙ্ক লেপন করেছেন, এখন আবার জামায়াতের নিরপরাধ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে প্রহসন করে জাতির কপালে আরেকবার কলঙ্ক লেপন করেছেন। জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে আজ অবধি কোন প্রমান দেখাতে পারেনি সরকার অথচ তাকে প্রহসনমুলক বিচার করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে । এ রায় জনগন মানে না। এ রায় বাতিল করে অবিলম্বে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় জনগণ দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে অন্যায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দ যুদ্ধাপরাধ আইনের সমালোচনা করে বলেন, ‘৭৩ সালে আইনটি করা হয়েছিল ‘৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য। সে সময় তদন্ত করে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের বিচার করেনি। বিমানে করে তাদেরকে ভারতে নিয়ে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ এই ত্রি-পীয় চুক্তির মাধ্যমে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। শাহাবাগে নাস্তিকদের সমাবেশে প্রভাবিত হয়ে এবং বিচারের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রকৃত অপরাধীদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিয়ে এদেশের নাগরিকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জাতির কপালে কলঙ্ক লেপন করেছেন। নেতৃবৃন্দ স্কাইপ কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরে বলেন, স্কাইপ সংলাপের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিই ট্রাইব্যুনালকে কলংকিত করেছেন। আর সেই কেলেংকারি মাথায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, এই প্রশ্নবিদ্ধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে কোনো বিচার জাতির জন্য লজ্জার। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল মতিন, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল প্রমূখ।
মুসলিদের মিছিল বাগেরহাটের রামপালে আ:লীগ নেতাদের হামলা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আহত ১০
ঃ বাগেরহাটের রামপালে শুক্রবার জুমায়ার নামাজ শেষে রাসুল (সঃ) কে অবমাননার প্রতিবাদে সাধারণ মুসলিদের মিছিলে আওয়ামীলীগ নেতাদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবসহ ১০ জন আহত হয়। আহত অন্যদের মধ্যে হাফেজ শাহীন, ইসরাফিল শেখ, আবু তাহের, মিজান, জাহিদ, ইয়াসিন ও সবুরের নাম জানাগেছে। আহতদের সূত্রে জানাগেছে, জুমায়ার নামাজ শেষে রাসুল (সঃ) কে অবমাননার প্রতিবাদে রামপালের গিলাতলা বাজারে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল করে আসার কথা ছিল। এ সময়ে একটি মিছিল ওই স্থানে জড়ো হলে রামপাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামলীগের সন্ত্রাসীরা ধরালো অস্ত্র নিয়ে ওই মিছিলের উপর হামলা করে। এতে রামপালের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবসহ ১০ জন মুসলী গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
বাগেরহাটে জামায়াত শিবিরের ৪৬০ জনের নামে ৩টি মামলা আটক ৯
বাগেরহাটে হরতালে গাড়ি ভাংচুর, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সদর ও কচুয়া থানায় জামায়াত শিবিরের ৪৬০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিসি বিশ্বাস জানায়, বৃহস্পতিবার কচুয়ার শিয়ালকাঠী এলাকায় পুলিশকে মারপিট ও কাজে বাধাদানের আভিযোগে আজ্ঞাত ৩৫০জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে সদর থানায় হরতালে গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে ৬০ জনকে আসামি করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে। এছাড়া জেলার রামপাল উপজেলায় ২ জামায়াত নেতাকে আটক করা হয়েছে দলীয় সুত্রে জানানো হয়েছে।
বাগেরহাটে মন্দির ভাঙচুর
ঃ বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জে শুক্রবার একটি মন্দির ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। মন্দিরের দুটি প্রতিমা ফেলে দেয়া হয় পাশের খালে। উপজেলার চিংড়াখালি ইউনিয়নের সিংগাজোড় গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। শুক্রবার সকালে মন্দির কমিটির সভাপতি মাঠে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় মন্দিরের ভাঙচুর অবস্থা দেখে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানান। চেয়ারম্যান থানায় খবর দিলে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মোরেলগঞ্জ থানার ওসি আসলাম উদ্দিন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কাসেম ঘটনাস্থলে যান। মন্দির কমিটির সভাপতি ীতিশ চন্দ্র বাঁছাড় জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনার গল্লামারী বধ্যভূমিতে গণমঞ্চের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত
ঃ খুলনার গল্লামারী বধ্য ভূমিতে মহাসমাবেশ করেছে নির্দলীয় গণমঞ্চের আন্দোলনকারীরা। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, জামায়াত শিবির নিষিদ্ধসহ ৬ দফা দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৪টায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া মহাসমাবেশে বক্তৃতা করেন নির্দলীয় গণমঞ্চের সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম বাপ্পী, পেশাজীবী পরিষদ খুলনার আহ্বায়ক খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ফায়েকুজ্জামানসহ মুক্তিযোদ্ধারা। বক্তারা সব যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শান্তি মৃত্যুদণ্ড, জাতীয় পতাকা, শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম অবমাননাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান। এ সময় তারা জামায়াত নেতা সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণা হওয়ার পর জামায়াত শিবিরের তাণ্ডবে নিহতদের আত্মার মাগফিরত কামনা করে দ্রুত এ নৈরাজ্য বন্ধের আহ্বান জানান। মহাসমাবেশে শিা প্রতিষ্ঠানের শিক, শিার্থী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় পতাকা, বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে মুহুমুর্হু শ্লোগানে গল্লামারীর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ এ সময় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধে ও ভাষা আন্দোলনে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়।
বাগেরহাটের রামপালে আ:লীগের হামলায় ১০ মুসল্লি আহত
ঃ বাগেরহাট জেলার রামপালে জুম্মার নামাজ শেষে রাসুল (স:) কে অবমাননার প্রতিবাদে সাধারণ মুসল্লিদের মিছিলে আওয়ামীলীগ নেতাদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবসহ ১০ জন আহত হয়। আহত অন্যদের মধ্যে হাফেজ শাহীন, ইসরাফিল শেখ, আবু তাহের, মিজান, জাহিদ, ইয়াসিন, সবুরের নাম জানা গেছে। আহতদের সূত্রে জানা গেছে, জুম্মার নামাজ শেষে রাসুল (সঃ) কে অবমাননার প্রতিবাদে রামপালের গিলাতলা বাজারে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল করে আসার কথা ছিল। এ সময়ে একটি মিছিল ওই স্থানে জড়ো হলে রামপাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামলীগের সন্ত্রাসীরা ধরালো অস্ত্র নিয়ে ওই মিছিলের ওপর হামলা করে। এতে রামপালের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবসহ ১০ জন মুসল্লী গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
খুলনার রুপসায় জামায়াত শিবির-পুলিশ সংঘর্ষে আহত-৫, গ্রেফতার-২
ঃ মাও: দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় ঘোষনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে পূর্ব রুপসায় জামায়াত ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের মিছিল চলাকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জামায়াতের ১০/১২ জন কর্মী আহত হয়। প্রত্যদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকালে পূর্ব রুপসার বাসস্টান্ড এলাকায় জামায়াত শিবিরের মিছিল বের হলে পুলিশের লাঠিচার্জে নেতাকর্মীরা দিকবিদিক ছোটাছুটি করে। এ সময় জামায়াত কর্মী হারুনার রশিদ (৫৫), হাফেজ জাহাঙ্গীর (৪০), শাহজাহান (৪৫), মুজিবুর (৫০), আজিম উদ্দিন (৪২) সহ ১০/১২ জন কর্মী আহত হয়। অপরদিকে শুক্রবার সকালে হরতালের সমর্থনে রুপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের আলাইপুর বাজারে জামায়াতের নেতা কর্মীরা মিছিল শেষে সমাবেশের আয়োজনের চেষ্টা কালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ আলাইপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর পুত্র আসলাম শিকদার (৪৫) এবং আলতাফ মুন্সির পুত্র আবুল বাসার (৩৮) কে গ্রেফতার করে।