‘রাখাইনে মানবিক বিপর্যয় শেষ হতেই হবে, বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে ইন্দোনেশিয়া’
আন্তর্জাতিক: ঢাকা সফররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে তা শেষ হতেই হবে। এর জন্য যা যা করণীয় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে ইন্দোনেশিয়া সরকার।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। ঢাকার প্রশংসা করে রেতনো মারসুদি বলেন, নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ সমবেদনা দেখাচ্ছে এবং সহযোগিতা করছে; সেটি ইন্দোনেশিয়া সমর্থন করে। আমরা পাশে আছি, এটা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি।
সংবাদ সম্মেলনে কোনও প্রশ্ন নেননি রেতনো মারসুদি। তিনি লিখিত বিবৃতি পড়ে চলে যান যাতে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের কথা।
এর আগে সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে রোহিঙ্গা বিপর্যয় মোকাবেলার উপায় নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন মারসুদি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রেতনো মারসুদির সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, জাতিসংঘের সাবেক কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের রিপোর্ট পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই রাখাইন রাজ্যের সমস্যার টেকসই সমাধান সম্ভব।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাহমুদ আলী তার বক্তব্যে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ‘মিয়ানমারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ও সহিংতার কারণে বাংলাদেশ বার বার ভুক্তভোগী হতে পারে না।’
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে জানান, ঢাকায় আসার আগে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির সঙ্গে বৈঠক করে ৪+১ ফর্মুলা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই ফর্মুলায় বলা হয়েছে, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, আত্মসংযম প্রদর্শন ও শক্তি প্রয়োগ না করা, সবাইকে সুরক্ষা দেওয়া ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা। এছাড়া প্লাস ১ দিয়ে তারা কফি আনান কমিশনের রিপোর্টের বাস্তবায়নের কথা বলেছে।’
রেতনো বলেন, ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ হওয়ার কারণে আমাদের ওপর স্থানীয় চাপ রয়েছে বিষযটির শান্তিপূর্ণ সমাধান করার জন্য।’ এ সময় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার অবস্থানের কথা জানান তিনি।
রেতনো মঙ্গলবার দুপুরে মিয়ানমার থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছান। এর আগে তিনি মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও সামরিক বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফের সঙ্গে বৈঠক করেন।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, আন্তর্জাতিক, শীর্ষ সংবাদ