“প্রবাসী বিপ্লব-২০১৯” এর ৩য় প্রতিবাদ সভাটি আগামী রবিবার ১০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় প্যারিসের ৭ নাম্বার মেট্রোর মেরী দি’ইভ্রী তে অনুষ্ঠিত হবে।
ইউরোবিডি সংবাদ: “প্রবাসী বিপ্লব-২০১৯” এর ৩য় প্রতিবাদ সভাটি আগামী রবিবার ১০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় প্যারিসের ৭ নাম্বার মেট্রোর মেরী দি’ইভ্রী তে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিবাদ সভায় প্রবাসী সকল বাংলাদেশীদের অংশ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
“প্রবাসী বিপ্লব-২০১৯” কেন? এর থেকে আমরা কি পেতে পারি?
কেন প্রয়োজন প্রবাসী বিপ্লব?
বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ প্রবাসী। এক কথায় তারা অনাবাসী বাংলাদেশী। তাদের সকলেই প্রাপ্ত বয়স্ক। অর্থা্ৎ তারা সকলেই ভোটার। যদিও বা তারা ভোট দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রক্রিয়াগত কারনে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনাবাসী বাংলাদেশীরা সক্রিয় ভুমিকা রেখে আসছেন। দেশের রপ্তানী আয় মেটানোর জন্য যে পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা দরকার তার পুরোটাই আসে এ খাত থেকে।
অনাবাসী বাংলাদেশীদের অধিকার কি সেভাবে রক্ষা হচ্ছে?
বাস্তবতা বিচার করলে দেখা যায় এক শতাংশও অধিকার রক্ষা হচ্ছে না অনাবাসী বাংলাদেশীদের। সারা বছর প্রবাসে অমানুষিক শ্রম দিয়ে দেশে ফেরার সময় বিমান বন্দর থেকে শুরু হয় দুর্গতি।
প্রবাসীদের প্রেরীত অর্থে এবং জাতীয় রাজস্ব দিয়ে যাদের বেতন দেয়া হয় সে সব বেতনভোগীরা বিলেতীদের মতো স্যুট টাই পড়ে একজন লুঙ্গি পড়া প্রবাসীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে। তাদের হয়রানি করে তারা মজা লুটে।
কারো কাছে এ বিষয়ে বিচার দিয়ে কোন লাভ হয় না। বরং আরো হয়রানি হবার আশঙ্কা থাকে।
এসব থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় প্রবাসী বিপ্লব।
আমরা কি পেতে পারি?
-প্রবাসীরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোন পদ আশা করে না। এবং এ বিষয়ে তাদের কোন আগ্রহ ও থাকতে পারে না। কারন স্থানীয় সরকারের কাজ রাস্তাঘাট নির্মান ও বিভিন্ন সামাজিক কাজ করা। প্রবাসীরা চাইবে তাদের অনুকুলে যেন আইন প্রণয়ন করা যায়। তাদের সুরক্ষা দেয়া যায়। এ কারনেই দেশের আইন সভার সংখ্যানুপাতে প্রবাসীদের জন্য সদস্যপদ সংরক্ষিত রাখা।
-জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার ১৮ শতাংশ হয় ৫৪ জন। প্রবাসীদের জন্য ৫০ টি সংসদীয় আসন সংরক্ষিত রাখা যেতে পারে। তারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের সংখ্যা অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করা যেতে পারে।
-প্রবাসী সাংসদরা শুধূ আইন প্রনয়নের কাজ করবেন। তাদের উন্নয়ন বাজেটের গম বরাদ্দ দেয়ার দরকার নেই। সংসদে গিয়ে প্রবাসী বান্ধর আইন প্রনয়নে তারা ভুমিকা রাখবেন।
-প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় রয়েছে সে মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা প্রবাসীদের মধ্য থেকে নিতে হবে।
-বাংলাদেশের দুতা্বাসগুলোতে প্রবাসী অনুবিভাগ করতে হবে। এখানে প্রবাসীদের নিয়োগ দিতে হবে।
-প্রবাসীদের মাধ্যমেই অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করা যায়। এ কারনেই প্রয়োজনে শ্রম রপ্তানী বাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য যে সব দেশে অধিক জনশক্তি রপ্তানী করা সম্ভব সে সব দেশে রাষ্ট্রদুত প্রবাসীদের মধ্য থেকে দেয়া দরকার।
প্রবাসীদের আরো অনেক নায্য দাবী দাওয়া রয়েছে সে সব পুরনের জন্য ‘প্রবাসী বিপ্লব-২০১৯’ কাজ করবে।
মনে রাখবেন প্রবাসীদের কষ্ট প্রবাসীরাই বুঝবে। তাই দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে এ বিপ্লব সফল করতে সকলে এগিয়ে আসুন।
Category: Community France, Community news 1st page, Notice Board, Scroll_Head_Line, ইউরোবিডি কমিউনিটি সংবাদ, ব্রেকিং নিউজ, শীর্ষ সংবাদ