• ৯ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,23 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

আজকের খুলনা ০৬ মার্চ -২০১৩ (বুধবার),এম শিমুল খান, খুলনা অফিস

| মার্চ 6, 2013 | 0 Comments

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিশু শিার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ এনে দেয়————————খুলনা সিটি মেয়র

 ঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিশু শিার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ এনে দেয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও জয়লাভ তাদের জীবনে গভীর রেখাপাত করে। ভবিষ্যতে তারা আরো ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা পায়। তাছাড়া তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধূলার প্রয়োজনীয়তাও অনেক। তিনি বলেন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। একজন কৃতী খেলোয়াড় জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের সাথে সাথে বিশ্বের বুকে নিজ দেশকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে সম। সিটি মেয়র বুধবার বেলা ১১টায় খুলনা মহানগরীর উত্তর কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন এর সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সদর থানা শিা কর্মকর্তা রিনা পারভীন ও সহকারী থানা শিা কর্মকর্তা নূর-এ লায়লা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক নার্গিস সুলতানা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক প্রধান শিক আলহাজ্ব মোল্যা আব্দুল খালেক, নয়াবাটী হাজী শরিয়ত উল্লাহ স্কুলের প্রধান শিক শেখ জাহিদুজ্জামান, প্রাক্তন কমিশনার শামীমা সুলতানা সীমা, সমাজসেবক শেখ সেলিম আহমেদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনায় জামায়াতের বিােভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 ঃ দেশব্যাপী গণহত্যার প্রতিবাদ ও আল্টিমেটাম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে বুধবার দেশব্যাপী গণবিােভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে বিােভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত। বিােভ মিছিল শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মাষ্টার শফিকুল আলম। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খানজাহান আলী থানা আমীর মোঃ আজিজুর রহমান স্বপন, শিবির নেতা মহিউল ইসলাম, মিম মিরাজ হোসেন, অধ্য মুস্তাফিজুর রহমান টিংকু, তানভীর আহমেদ প্রমূখ। বিােভ মিছিল শেষে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী সরকার ইসলাম ও কোরআন-সুন্নাহ্ এবং সাধারণ জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শাহবাগী নাস্তিক ব্লগারদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ইসলামকে অবমাননা করেছে। দেশের আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আসামী করেছে। ২০ জন মুসল্লীকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। সারা দেশের ৩০০ মসজিদে সরকারি নজরদারি ও পুলিশ পাহারা বসিয়ে তা মুসল্লীশূন্য করেছে। যা কোন গণতান্ত্রিক দেশের জনগন মেনে নেবে না।

খুলনায় চাল ও তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে তরকারির দাম

 ঃ গত ৩ দিনের হরতালে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতি যেমন অস্থির। তেমনি অস্থির ছিল কাঁচা বাজার। খুলনায় নিত্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসের দাম না বাড়লেও তরি তরকারির দাম বেড়েছে। চাল, ডাল ও তেলের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। খুলনা মহানগরীর বড় বাজার, নিউ মার্কেট, সন্ধ্যা বাজার, বয়রা বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার, নতুন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়। খুলনার সন্ধ্যা বাজারের তরকারি ব্যবসায়ী পরিতোষ বাইন জানান, চাল, ডাল ও তেলর দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। তরিতরকারির দাম বেড়েছে। কিছু কিছু ব্যবসায়ী হরতালের আগে বেশি করে মাল কিনে হরতালের সময় ও বর্তমানে দাম বেশি করে রাখছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। হরতালে পিয়াজ, আলু, ফুলকপি, বেগুন, লাউ, টমেটো, কুমড়ো, সজনার দাম বেড়েছে ২থেকে ৪০টাকা পর্যন্ত। হরতালের আগে আলু বিক্রি হয়েছে ১২ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। হরতালের আগে পিয়াজ ৩০ টাকা ছিল বর্তমানে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ছিল ১৫ টাকা বর্তমানে ২০ টাকা, কাঁচা ঝাল ছিল ৮০ টাকা বর্তমানে ১০০ টাকা, লাউ (বিভিন্ন সাইজের) ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ২৫ টাকা, কুমড়ো ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ২৪ টাকা, বেগুন ও বাঁধাকপির দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। বেগুন ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ১০ টাকা। উস্তে ও সজনার দাম কমেছে। উস্তে ছিল ১২০ টাকা বর্তমানে ১০০ টাকা, সজনা ছিল ২৪০ টাকা বর্তমানে ২০০ টাকা। আর একজন তরকারি ব্যবসায়ী আব্দুলাহ জানায়, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় ও চাহিদা বাড়ার কারনে তরকারির দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মঈনুল ইসলাম নাসির বলেন, হরতালে ভাংচুরের ও অগ্নিসংযোগের কারনে বাজার ছিল ফাঁকা। ফলে নতুন করে তরকারি বাজারে আসেনি আবার বিক্রিও হয়নি। বরং আরো আগের আনা মাল নষ্ট হয়েছে। এ কারনে দাম একটু বৃদ্ধি পেয়েছে। হরতালের পরে বাজারে লেনদেন নিয়মিত হলে দাম একটু কমতে পারে।

বাগেরহাটে বিএনপির বিােভ অনুষ্ঠিত

 ঃ বাগেরহাটে কেন্দ্রীয় বিএনপি ও অংঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাগেরহাট জেলা বিএনপির বিােভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরেরপ্র্রধান প্রধান সড়ক প্রদনি শেষে পুরাতন বাজার মোড়ে এক পথ সভায় মিলিত হয়। বাগেরহাট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এ্যাডঃ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলী রেজা বাবু , সাংগঠনিক স¤পাদক মোজাফফর রহমান আলম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেবুবুল হক কিশোর, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সুজাউদ্দীন মোলা (সুজন), জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ নাসির আহম্মেদ মালেক, পৌর বিএনপির সাধারণ স¤পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাধারণ স¤পাদক আবুল কালাম আজাদ বুলু, এলাহি মল্লিক আলম, সদর উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম,পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি সেলিম ভুইয়া প্রমুখ।

মংলায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও অর্ধ দিবস কর্ম বিরতি পালন ঃ সারাদেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মংলায় মানববন্ধন এবং অর্ধ দিবস কর্মবিরতি পালন করেছে স্থানীয় সাংবাদিকেরা। ‘মংলা টিভি সাংবাদিক এ্যাসোশিয়েশন’র আয়োজনে বুধবার সকালে শহরের প্রধান সড়কের পৌরসভা চত্বরে এ মানব বন্ধন ও কর্ম বিরতি কর্মসূচী পালিত হয়। স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্টনিক্স মিডিয়ার কর্মীদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে এ কর্মসূচীতে অংশ নেয় বিভিন্ন ¤্রণেীর পেশার লোকজন।

খুলনার রুপসায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ শাড়ী কাপড় আটক

 ঃ ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ শাড়ী কাপড় আটক করেছে কোস্ট গার্ড। কোস্ট গার্ড জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনার রুপসা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বুধবার সকালে ভারতীয় শাড়ী কাপড় বোঝাই একটি ট্রাক আটক করে মংলা কোস্ট গার্ড সদস্যরা। পরে ট্রাকটি থেকে ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ী জব্দ করা হয়। অভিযানকারীদের উপস্থিতিটের পেয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

খুলনায় সন্ত্রাস বিরোধী ৭ দিনের কর্মসূচি

 ঃ সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যের পর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার প্রতিবাদে খুলনায় ৭ দিন ব্যাপী কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে। গণতন্ত্রমনা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটি এ কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। বুধবার দুপুওে খুলনা প্রেসকাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে সদ্য গঠিত এ কমিটির আহবায়ক ও মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক কর্মসূচি ঘোষনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মানবতা বিরোধী অপরাধে আব্দুল কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ রায় মৃত্যুদন্ড না হওয়াতে ুব্ধ মানুষ শাহবাগের গনজাগরণ মঞ্চে প্রতিবাদ গড়ে তোলে। দেশব্যাপী এর ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। জামায়াতে ইসলামীর অন্যান্য নেতার রায় হওয়ার পর ুব্ধ স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জাতীয় পতাকা অবমাননা, শহীধ মিনার ভাংচুর, বায়তুল মুকাররম মসজিদের জায়নামাজে আগুন, মন্দিরে হামলা এবং তৃনমূল পর্যায়ে রাজনীতিকদের বাড়িঘর ভাংচুর করে দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালায়। তারা পুলিশের ওপর হামলা করে কয়েকজন পুলিশকে হত্যা করে। এমনকি তাদের রাজনৈতিক দর্শনের বিরুদ্ধে কথা বলায় আলেমদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই চক্রের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রয়াসে বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় খুলনা মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন, ৮ মার্চ হাদিস পার্কে নারী সমাবেশ, ৯ মার্চ ফুলতলা স্বাধীনতা মঞ্চে সমাবেশসহ ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টিও এস এ রশিদ, এইচ এম শাহাদাৎ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মফিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের এফ এম ইকবাল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের জনার্দন দত্ত নান্টু, জাসদের রফিকুল হক খোকন, জেএসডির আ ফ ম মহসিন, নুরুল ইসলাম খোকন, বাবুল আক্তার, ন্যাপের ফজলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার সরদার মাহবুবুর রহমান, ভাষানী অনুসারী পরিষদের শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন এবং জাকের পার্টির আনিসুজ্জামান মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনায় মাওলানা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে মিছিল
ঃ সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে বুধবার খুলনা মহানগরীতে সংগঠনের নগর শাখা এক বিােভ মিছিল বের করে। এ উপলে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আল্লামা সাঈদীকে মুক্তি না দিলে আগামীতে বাংলাদেশ অচল করে দেয়া হবে। তৌহিদী জনতাকে মিছিল করতে না দেয়ায় সরকারের অগণতান্ত্রিক চরিত্র ফুটে উঠেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গ্রাম গঞ্জে হাজার হাজার মানুষ তৌহিদী জনতার ব্যানারে রুখে দাড়িয়েছে। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মাওলানা সাঈদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে সরকার নির্ধারিত ছকে ফাঁসির আদেশ দিয়ে দেশকে এক ভয়াবহ সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিােভ মিছিল শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মাষ্টার শফিকুল আলম। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খানজাহান আলী থানা আমীর মোঃ আজিজুর রহমান স্বপন, শিবির নেতা মহিউল ইসলাম, মিম মিরাজ হোসেন, অধ্য মুস্তাফিজুর রহমান টিংকু, তানভীর আহমেদ প্রমূখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারী দলের লোকেরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি ঘর ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা চালিয়ে তা জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের ওপর চাপিয়ে দেয়ার অপকৌশল গ্রহণ করেছে। তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করছে। সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য সরকার গণহত্যা চালিয়ে তা জামায়াতের তান্ডব বলে মিথ্যাচার চালাচ্ছে।

খুলনার শিববাড়ি মোড়ে গণমঞ্চের লাগাতার কর্মসুচি শুরু শুক্রবার
ঃ খুলনার নির্দলীয় গণমঞ্চ শুক্রবার থেকে শিববাড়ি মোড়ে লাগাতার অবস্থান ও বিােভের কর্মসূচি আহবান করেছে। দেশব্যাপী জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, ভাংচুর, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করন, যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ ও জামায়াত, শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আবার এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মানবতা বিরোধী অপরাধে জামায়াতের নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে তারা আন্দোলন শুরু করে। ১৭ দিন টানা কর্মসূচির পর তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে। গণমঞ্চের সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম বাপ্পী গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, তাদের উল্লেখিত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ প্রোপটে তারা ৭ দফা কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার নারী দিবসে শিববাড়ি মোড়ে নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। চুকনগর বধ্যভুমিতে ৮ মার্চের মহাসমাবেশ পরিবর্তন করে ২৫ মার্চ করা হয়েছে।

খুলনার কয়রায় বিএনপি ও জামায়াতের ৮০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা
ঃ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আমাদীতে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের তিনটি ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া এবং পার্শ্ববর্তী বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগে আটশ জনের নামে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ সহিংস ঘটনায় বুধবার মামলা দুইটি দায়ের করা হয়েছে। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবীর জানান, আমাদী বাজার সংলগ্ন এলাকায় হিন্দু পরিবারের তিনটি ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় রাজিব ঘোষ বাদী হয়ে ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। এ মামলায় ৪০০ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে। একই আসামিরা পার্শ্ববর্তী খোকন আরী সানার বাড়ি লুটপাট করায় তিনিও বাদী হয়ে তাদের নামে মামলা দিয়েছে। তবে এ মামলায় ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জানান, একই আসামিরা দুইটি ঘটনা ঘটায় পৃথক মামলায় তাদেরকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে কয়রা থানায় ৭ জন ও পার্শ্ববর্তী থানা দাকোপে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়রার আমাদী এলাকার লোকজন জানান, মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ বিএনপি ও তার অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। এর মধ্যে কয়েক জন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীর নাম আছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে কয়রা উপজেলার আমাদী বাজারের কাছে সংখ্যালঘু পরিবারের তিনটি ঘরে আগুন ও কয়েকটি বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

খুলনার পাইকগাছায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের বিােভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 ঃ সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বসত বাড়ীতে হামলা, অগ্নি সংযোগ, মন্দির ভাংচুর ও নির্যাতনের প্রতিবাদে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বিােভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২ টায় এক বিােভ মিছিল কেন্দ্রীয় সরল কালিবাড়ি মন্দির হতে বের হয়ে উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদনি শেষে বাজার চৌরাস্তা মোড়ে এসে শেষ হয়। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরন সাধুর সভাপতিত্বে সংপ্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-আ’লীগের সাবেক এমপি এ্যাড. শেখ মোঃ নূরুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রশীদুজ্জামান, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক রতন কুমার ভদ্র, আ’লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস, আনন্দ মোহন বিশ্বাস, অধ্য রমেন্দ্র নাথ সরকার, সাবেক পৌর মেয়র শেখ কামরুল হাসান টিপু, কাউন্সিলর কবিতা রাণী দাশ, সাবেক কাউন্সিলর পারুল রাণী মন্ডল, হেমেশ চন্দ্র মন্ডল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দিবাকর বিশ্বাস, পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা যুগল কিশোর দে, বিজন বিহারী, রবীন্দ্র নাথ রায়, মুরারী মোহন সরকার, দীপক কুমার মন্ডল, মনোহর চন্দ্র সানা, সন্তোষ কুমার সরদার, জগদীশ চন্দ্র রায়, শংকর দেবনাথ, তপতোষ মন্ডল, সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ ও তৃপ্তি রঞ্জন সেন।

কুয়েটে ৭ মার্চ ১ম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন

 ঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর ২০১২-১৩ইং শিাবর্ষের বি.এস সি. ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিইউআরপি কোর্সের ১ম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান আগামীকাল ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, রেজিস্ট্রার, অন্যান্য শিক-কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ১ম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত থাকবেন। ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান শেষে এ দিন থেকেই ১ম বর্ষ বি.এস-সি. ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিইউআরপি কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের কাস যথারীতি শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১২০ জন, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১২০ জন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১২০ জন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬০ জন, ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬০ জন, ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ৬০ জন, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬০ জন, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্লানিং বিভাগে ৬০ জন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৬০ জন এবং সংরতি ৫টি আসনসহ সর্বমোট ৭২৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়েছে।

Category: দেশের খবর

About the Author ()

Leave a Reply