• ১০ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,24 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

জোরপূর্বক ফ্রান্সে বোরখা পরা বন্ধ করা হল!!!

| এপ্রিল 5, 2013 | 0 Comments

ইউরো সংবাদ: ফ্রান্সে বোরখা পরা বন্ধ করা হল সোমবার থেকে। ফ্রান্সের পার্লামেন্ট ও কোর্টের রুল অনুযায়ি কোন মহিলা বা নারী যদি রাস্তাঘাটে বা জনসম্মুক্ষে সম্পূর্ণ মুখমন্ডল নেকাব্ বা পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখে বা মুখ কালো পর্দায় লুকানও থাকে তাহলে তাকে ১৫০-ইউরো জরিমানা দিতে হবে আর কেউ যদি মহিলাদের বলপূর্বক বোর্খা পরতে বাধ্য করে তাহলে এর দায়ভার হিসেবে ঐ ব্যক্তিকে ৩০,০০০-ইউরো জরিমানা অন্যথায় ৬০,০০০-ইউরো জরিমানা ছোটখাটো মামলার ক্ষেত্রে দিতে হব। আগামী ১১ ই এপ্রিলের মধ্যে ফ্রান্সে নেকাব্ পরা সকল মুসলমান নারীদের জন্য অবৈধ ও দন্ডনীয় অপরাধ। রাস্তায়, পার্কে, পাবলিক স্থান সমূহ যেমন: রেল স্টেশন এবং টাউন হল, এবং বিভিন্ন ষ্টোর ও রেষ্টুরেন্টে তারপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোর্খা বা নেকাব্ পরা যাবে না। এর উদ্দেশ্য হল ফ্রান্সের প্রাথমিক আইনের আওতায় মুসলিম মহিলাদের টার্গেট করে বোর্খা বা নিকাবকে বন্ধ করা।গত সপ্তাহে ফ্রান্সের পুলিশের কাছে এর খসড়া পৌছে গেছে কিভাবে কি করতে হবে।

SGP পুলিশ ইউনিয়নের Yannick Danio পুলিশ নেকাব বন্ধের ক্ষেত্রে কাজ করে যাবে যদিও তাদের অন্যান্য কাজ রয়েছে তারা আইনের উপর বলপ্রয়োগ করতে পারবে।তিনি আরও বলেন হিজাব্ মামলায় যদি বিশৃংখলা দেখি জনগনের মাঝে তাহলে আমি অবশ্যই বোর্খা বন্ধ করবো। পুলিশ নেকাব্ না পরার জন্য মুসলিম নারীদের বলবে, যদি কোন ব্যক্তি তা না শুনে তাহলে তারা জোর করে কিছু করবে না বরং তার পরিবর্তে তাকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।কোনও মহিলা যদি নেকাব্ পরা বন্ধ না করে তাহলে তাকে বিচারের জন্য আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হবে।এ আইন ফ্রান্স ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বলবত্ থাকবে।মুসলিম নারীদের অভিযুক্ত করা হয়েছে এ বলে যে তারা নেকাব পরে ধর্মকে কুলষিত করছে। পুলিশ কোনও সমস্যা করবে না বলেন Mohamed Ali Adraoui, a researcher on the strict Islamic interpretation of Islam, Salafism, in France. তিনি বিশ্বাস করেন যে পুলিশ সমস্যা করবে না যদিও আইনটি ইতমধ্যে কার্যকরী হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন আইনের দৃষ্টিতে পুলিশ বল প্রয়োগ করে নেকাব্ বন্ধ করতে পারবে না বরং এজন্য তাদের ইউরো দিতে হবে তাহলে তারা শান্ত থাকবে। মুসলিম নারীদের আব্রু রক্ষার জন্য বিভিন্ন আর্থিক ফান্ড খোলা হয়েছে যাতে করে তারা জরিমানা দিতে সক্ষম হয়।Adraoui বলেন তিনি মনে করেন বোর্খা পরা নিয়ে ফ্রান্সের মুসলিম নারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই বাড়ীতে আছেন, আবার অনেকেই বোর্কা বা নেকাব্ পরছে এবং তারা আইনের সাহায্য নিয়ে সরকারের সাথে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আবার অনেক মুসলিম নারী ইতমধ্যে ফ্রান্স ত্যাগ করছেন তারা ব্রিটেন,আলজেরিয়া, মিশর এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেনে  পাড়ি জমাচ্ছেন।এটা ফ্রান্সের রাজনীতি চর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মন্তব্য করেন Mohamed Ali Adraoui

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ব্রেকিং নিউজ, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply