রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে চারশ’ ঘণ্টা পর রেশমাকে জীবিত উদ্ধার!!!
ইউরোবিডি২৪নিউজঃ সাভারে ভবন ধসের সপ্তদশ দিনে মাথায় ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে রেশমা বেগম নামে এক পোশাক শ্রমিককে। তাকে তৃতীয় তলার একটি প্রার্থনা কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া সেনাবাহিনীর মেজর মোয়াজ্জেম জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে দ্বিতীয় তলা ও বেইজমেন্টের মাঝের অংশের কংক্রিটের স্তূপ সরানোর সময় গোঙানির শব্দ পান তারা। সঙ্গে সঙ্গে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার বন্ধ করে আটকে থাকা মানুষটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। জানতে পারেন, ১৭ দিন ধরে ভেতরে আটকা পড়ে থাকা মেয়েটির নাম রেশমা।
এ খবর পেয়েই সাভারের জিওসিসহ উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপে ছুটে যান। রেশমার জন্য খাবার, পানি ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়।
একটি অ্যাম্বুলেন্স ও স্ট্রেচারও নিয়ে আসা হয় সেখানে। এ সময় উপস্থিত অনেককেই রেশমার জন্য প্রার্থনা করতে দেখা যায়।
বিকাল ৪টা ২৬ মিনিটে রেশমাকে নিরাপদে বের করে নিয়ে আসা হলে উপস্থিত সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। অনেকেই এ ঘটনাকে অবিস্মরণীয় বলে উল্লেখ করেন।
অ্যাম্বুলেন্সে করে রেশমাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
মেজর মোয়াজ্জেম জানান, বেজমেন্ট খোঁড়ার সময় হঠাৎ ওয়রেন্ট অফিসার রাজ্জাক একটি লাঠি নাড়াতে দেখতে পান। কাছে গিয়ে গর্ত দিয়ে কাছে গেলে রেশমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
পরে রাজ্জাক জানান, একটি গর্ত করা হলে সেখান দিয়ে তিনি দেখতে পান কেউ একজন একটি ছোট পাইপ নাড়ছে। তিনি আওয়াজ দিলে মেয়েটি চিৎকার করে বলে উঠে, “স্যার আমাকে বাঁচান।
এ সময় ওই সেনাসদস্য কোনো খাবার বা পানি আছে খেয়েছে কি না জানতে চাইলে রেশমা জানান, মেঝে পড়ে থাকা পানি ও তার সহকর্মীদের ফেলে যাওয়া খাবারে ১৫ দিন পর্যন্ত চলেছেন। তবে গত দু’দিন তিনি অভুক্ত অবস্থায় আছেন।
এরপর তাকে গর্ত দিয়ে পানি ও খাবার দেয়া হয়। উদ্ধারের পর রেশমা সম্পূর্ণ অক্ষত থাকলেও তাকে দুর্বল দেখাচ্ছিল।
রাজ্জাক জানান, ধসের সময় রেশমা রানা প্লাজার তৃতীয় তলায় ছিলেন।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, প্রচ্ছদ, ব্রেকিং নিউজ, শীর্ষ সংবাদ