ভারতীয় এক যুবক স্থাপন করলেন ভালোবাসার দৃষ্টান্ত!
ইউরোবিডি২৪নিউজঃ একজন ধর্ষিতা নারীর পাশে দাঁড়ালেন সত্যিকারের একজন বন্ধু। ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি।
বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখলেন বিহারের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র । চোখের সামনেই তার বান্ধবীকে ধর্ষণ করেছিল পর পর ৩ জন ৷ কিন্ত্ত অধিকাংশ সময়েই যা হয়, এ ক্ষেত্রে তা হয়নি৷ বান্ধবীর পাশ থেকে সরে আসেননি ওই তরুণ ৷ শুক্রবার প্রথাসম্মত ভাবে বিয়ে করে লাঞ্ছিতা তরণীকে জীবনসঙ্গিনী করলেন তিনি ৷
এই সন্তাহের শুরুর দিককার ঘটনা ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ বছর বয়সী বান্ধবীর সঙ্গে বিহারের বাঁকা জেলার মন্দার পর্বত এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন ওই তরুণ ৷ অনেকের বিশ্বাস, ওই পর্বতটিই হল হিন্দু পুরাণ কথিত মন্দারচল পর্বত, যা সমুদ্রমন্থন করে অমৃত তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ তাই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বহু তীর্থযাত্রীর সমাগম হয়৷ কিন্ত্ত সমুদ্রমন্থনে যেমন বিষ উঠে এসেছিল, তেমনিই তীর্থস্থানেও ওই তরুণ-তরুণীর জন্য অপেক্ষা করেছিল বিপদ ৷ রাস্তা হারিয়ে কিছু মেষপালকের কাছে পথ জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁরা৷ ভুল তথ্য দিয়ে ওই মেষপালকরা তাঁদের এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়৷ দু’জনকেই আটকে রেখে মারধর করা হয়৷ তিন ঘণ্টা ধরে বন্ধুর সামনেই ৩ জনের হাতে গণধর্ষিতা হন ওই তরুণী ৷ ছেড়ে দেওয়ার আগে তাঁদের টাকাপয়সাও কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা৷ কোনক্রমে বরাহত থানায় পৌঁছে আক্রান্ত তরুণ-তরুণী এফআইআর দায়ের করেন৷
কিন্ত্ত সমুদ্রমন্থন শেষে অমৃতও উঠেছিল৷ ধর্ষণের ঘটনার ৪ দিন পর স্থানীয় মন্দিরে সামাজিক প্রথা অনুযায়ী ওই তরুণ-তরুণীর বিবাহ সম্পন্ন হয় ৷ রীতি মেনে কন্যাদান করেন ওই তরুণীর বাবা ৷ শুক্রবার সন্ধেবেলা ওই অনাড়ম্বর বিবাহ অনুষ্ঠানে আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কয়েক জন পুলিশ আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন ৷ ছিলেন স্থানীয় সমাজকর্মীরাও ৷ তবে তার আগেই আদালতে একটি হলফনামার ভিত্তিতে বান্ধবীকে আইনসম্মত ভাবে বিয়ে করেছিলেন ওই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র৷ সামাজিক বিবাহের পর তিনি বলেন,’আমি জানি কয়েক দিন আগে ও গণধর্ষিতা হয়েছিল৷ পুরো ঘটনাটা আমার সামনেই ঘটেছে৷ পূর্ণ সম্মতিতেই ওকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে গ্রহণ করেছি ৷
সুত্রঃ রেডিও ঢাকা এফ এম।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, আন্তর্জাতিক, প্রচ্ছদ