• ৯ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,23 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

পার্ক ধ্বংস করে শপিং মল নির্মাণের প্রতিবাদে জ্বলছে তুরস্ক

| জুন 4, 2013 | 0 Comments

ইউরো সংবাদ: একটি পার্ক ধ্বংস করে সেখানে শপিং মল নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এখন জ্বলছে তুরস্ক। গত কয়েক দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়েপ এরদোগানের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল সারা দেশ। তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৬৭টিতে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলন দমাতে সরকার কাঁদানে গ্যাস, জলকামান থেকে গরম পানি ছুড়ছে। কিন্তু তাতে আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরছে না। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে ফ্যাসিবাদী আচরণ বলে অভিহিত করেছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে দু’জন নিহত হয়েছে। এরপরই বৃহৎ শ্রমিক সংগঠন কেইএসকে দু’দিনের ধর্মঘট ডেকেছে।

ওদিকে ইস্তাম্বুলে ওই পার্ক ধ্বংসের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের যারা আহত হয়েছেন তাদের উদ্দেশে ক্ষমা চেয়েছেন তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ট আরিঙ্ক। প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের ‘সন্ত্রাসী চক্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করলেও উপ-প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন গাজী পার্ককে কেন্দ্র করে তাকসিম স্কয়ার এলাকায় যে আন্দোলন হচ্ছে তা যথার্থ ও বৈধ। এ বিষয়ে তিনি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, গাজী পার্ক হচ্ছে ইস্তাম্বুলের সর্বশেষ সবুজ প্রকৃতির অবশেষ। সরকার সেখানে বিংশ শতাব্দীর অটোম্যান ব্যারাকের একটি  রেপ্লিকা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। বলা হয়েছে, সেখানে একটি শপিং মল নির্মাণ করা হবে। এর ফলেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়েপ এরদোগান ক্ষমতায় আসার পর এত শক্তিশালী আন্দোলনের মুখে পড়েননি এর আগে।

আন্দোলন দমনে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। মরিচের গুঁড়া ছোড়ে। জবাবে আন্দোলনকারীরা তাদের দিকে বোতল ছুড়ে, রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে, বুলডোজার যাওয়ার পথ বন্ধ করে এবং রাজপথে আবর্জনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহারের কারণে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ পুলিশের সমালোচনা করেছে। রোববার রাতে আঙ্কারায় সিএনএন-এর এক সংবাদকর্মী দেখতে পান কিভাবে একজন বিক্ষোভকারীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে। এক পুলিশ অফিসার লাথি মারছিল সিএনএন’র এক ভিডিওগ্রাফারকে।

এসব ঘটনায় কেইএসকে নামের শ্রমিক সংগঠন এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দু’দিনের ধর্মঘট আহ্বান করেছে। তারা দাবি করেছে, তাদের ২ লাখ ৪০ হাজার সদস্য সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেবে। কেউ কেউ তাকসিম স্কয়ারকে কায়রোর তাহরির স্কয়ার অথবা লন্ডনের তাফালগার স্কয়ারের সঙ্গে তুলনা করছেন।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, আন্তর্জাতিক, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply