• ৮ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,22 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

এমপি রনির শাস্তি দাবি পটুয়াখালীর গলাচিপা আওয়ামী লীগের

| জুলাই 21, 2013 | 0 Comments

দেশের খবর: এমপি গোলাম মাওলা রনি কর্তৃক ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগ তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় এমপি রনির কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। একই সঙ্গে নির্যাতিত সাংবাদিকসহ গোটা সাংবাদিক সমাজের কাছে দুঃখ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এমপি রনির ব্যক্তিগত আচরণের দায় কখনও দল বহন করবে না। কারণ রনি আওয়ামী লীগের কেউ নন। দলে তাঁর কোন পর্যায়ের সদস্য পদও নেই। সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিক্রিয়ায় রবিবার দুপুরে তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সমে¥লনে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

আওয়ামী ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সমে¥লনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ, সাবেক সভাপতি আলহাজ মো. শাহজাহান মিয়া, সহ-সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে, যুগ্ম সম্পাদক শামসুজ্জামান লিকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মুহাম্মদ শাহ আলম প্রমূখ।

মো. হারুন অর রশিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, গোলাম মাওলা রনি পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হলেও গলাচিপা কিংবা দশমিনা আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। তাঁর সাধারণ সদস্য পদও ছিল না। এরপরেও গোলাম মাওলা রনি মনোনয়ন পাওয়ার পরে দুই উপজেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নির্বাচনের পরের দিনই গোলাম মাওলা রনি প্রমাণ করেছেন, আসলেই তার প্রকৃত সম্পর্ক বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে।

২৯শে ডিসেম্বর দুপুরে গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস প্রাঙ্গনে অবস্থিত পৌরমঞ্চে কিছু চিহ্নিত ক্যাডার নিয়ে এসে গোলাম মাওলা রনি এ মর্মে বক্তব্য দেন যে, এখানকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকলেই দুর্নীতিবাজ। তাদের সঙ্গে তার অর্থাৎ গোলাম মাওলা রনির কোন সম্পর্ক নেই। এরপরই রনি ক্যাডারদের নিয়ে বিএনপি অফিসে যান এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, তারা নির্বিঘেœ রাজনীতি করতে পারবেন।

অথচ রনি তার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী জনসভায় এ মর্মে অঙ্গিকার করেছিলেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে যারা নির্যাতিত-নিষ্পেষিত এবং হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, তার প্রতিটি ঘটনার তিনি বিচার করবেন, প্রতিকার করবেন। লুট হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেবেন। অথচ নির্বাচনের পরের দিনই তিনি তা ভুলে গেলেন।

Category: 1stpage, দেশের খবর, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply