গ্রীষ্মকালে সর্দি আর হিটস্ট্রোক থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায়
হেল্থ ইস্যুজ: গরমের তীব্রতা সহ্য করা বিশেষ করে বৃদ্ধবৃদ্ধা ও শিশুদের জন্য অনেক কষ্টকর। গরমের এই সময়ে সর্দি আর হিটস্ট্রোক থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায়। আজেকে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। খাদ্য মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জীবনের অপরিহার্য একটি উপাদান। প্রচন্ড তাপদাহের এই সময়ে মানুষে খাদ্যাভ্যাস বা খাওয়া দাওয়াকে কিভাবে উপভোগ করা যায়, এই বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করা যেতে পারে। গরম দিনে অনেকেই বেশি একটা খেতে চায় না। অনেকেই কিছু খেতে পছন্দ করেন না।
মার্কিন মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি গরমের কারণে আপনার খেতে ইচ্ছে না করে, তাহলে খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেন। অর্থাত্ প্রতিবার কম খান, কিন্তু বেশ কয়েকবার খান, প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ বার করে খান। এ সময়ে খাদ্য তালিকায় ক্যাফিন, এলকোহল ও চিনির পরিমাণ কমিয়ে দেন। কারণ এ সকল খাদ্য উপাদানের পরিমান বেশি হলে শরীরের পানি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়বে। ফলে পানিশূণ্য নানা রোগে আক্রান্ত হবেন সহজেই। অবশ্যই বেশি করে ফল খান। ফলের মধ্যে রয়েছে সমৃদ্ধ ফাইবার, যা রক্তে থাকা শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে।
মার্কিন মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিক গরমের দিনে মসলাযুক্ত খাবার কম করে খাওয়া শরীরের জন্য ভাল। এক গবেষণায় দেখা গেছে, Capsaicin’র জন্য মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এটা অস্থায়ী হওয়া সত্ত্বেও শরীরের অসুস্থ্যতা সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া এই সময়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের পরিমান কিছুটা কমিয়ে দেওয়া ভাল। গরম থেকে বাঁচতে অধিকাংশ সময়ে ঘরের মধ্যে থাকলেও কি সর্দি আর হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। এ প্রশ্নের উত্তর কি হবে? জাপানের মেডিকেল কলেজের সর্দি আর হিটস্ট্রোক কমিটির পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী ২০১০ সালে জাপানে ঘন ঘন সর্দি আর হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার স্থানগুলোর তালিকার মধ্যে অধিকাংশই ছিলো ঘরের অভ্যন্তর, সূর্যের আলোয় খোলা ময়দানে ও ভবন বা চালার ছায়ায়। তবে খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও কাজের সময় সর্দি আর হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের তুলনায় উল্লেখিত তিন জায়গায় আক্রান্তদের অবস্থা আরও আশংকাজনক। জাপানের Dehydration প্রতিরোধ কটিমির চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ বাসার তাপমাত্রা সুর্যালোকের নিচের তাপমাত্রার কাছাকাছি থাকছে। সেজন্য বাসায় থাকা সত্ত্বেও সর্দি আর হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। তাহলে কিভাবে সর্দি আর হিটস্ট্রোক রোধ করা যায় এবং সর্দি আর হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে কি কি করা যাবে? এই প্রশ্নের জবাবে জাপানের এক বিশেষজ্ঞ জানান, নির্দিষ্ট খাবার ও পানি পানের মাধ্যমে সর্দি আর হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়। বিশেষ করে বৃদ্ধবৃদ্ধা ও শিশুদের শরীর দুর্বল বলে সর্দি আর হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করা তাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য পিপাসা না পেলেও তাদের উচিত ঘন ঘন পানি পান করা।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, হেল্থ ইস্যুজ