• ৮ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,22 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

সিরিয়া অস্ত্র ধ্বংসের পরেও মার্কিন সামরিক হামলার আশঙ্কা এখনও রয়েছে: আসাদ

| সেপ্টেম্বর 26, 2013 | 0 Comments

আন্তর্জাতিক: 

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, রাসায়নিক অস্ত্রের অজুহাত দেখিয়ে তার দেশের ওপর পশ্চিমাদের সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা এখনও বজায় রয়েছে। ভেনিজুয়েলার ‘টেলেসুর’ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

আসাদ বলেছেন, গত ‘৫০-এর দশক থেকে এ পর্যন্ত চলে-আসা মার্কিন নীতিতে দেখা যায়, এক হামলা থেকে আরেক হামলায় জড়িয়ে পড়া ওয়াশিংটনের নীতি এবং আমেরিকার সেই নীতি এখনও বজায় রয়েছে।

সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে মতবিরোধ থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন আর ‘৯০-এর দশকের মত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ব্যবহার করতে পারবে না; কারণ, দামেস্ক সব ধরনের চুক্তি মেনে চলছে এবং এই পরিষদে এখন ক্ষমতার ভারসাম্য আগের চেয়েও বেশি।

 মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে সিরিয়ার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদে আরো কঠোর প্রস্তাব উত্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এই পরিষদের অন্য স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীন ওবামার এই আহ্বানের তীব্র বিরোধিতা করেছে।

আসাদ আরো বলেছেন, সিরিয়া একটি স্বাধীন দেশ এবং আমেরিকা তার নীতি এই দেশের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবে না; কারণ, সিরিয়ায় নেতৃত্ব কে দেবে তা সিরিয় জনগণই ঠিক করবে।

 সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিকে তার দেশের জন্য কল্যাণকর হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন,  এর কারণ, তাদের মিশন হল এটা যে কারা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে তা স্পষ্ট করা।

তিনি জানান, তার সরকার আলেপ্পোর উত্তরাঞ্চলে খান আল আসাল এলাকায় রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে সেখানকার মাটির ও আহতদের রক্তের নমুনাসহ (রাসায়নিক অস্ত্রবাহী) গোলা বা ক্ষেপণাস্ত্রের নমুনা এবং সন্ত্রাসীদের রাসায়নিক অস্ত্রের সামগ্রী লুকিয়ে রাখার স্থান আবিষ্কার সম্পর্কে রাশিয়ার কাছে দলিল-প্রমাণ জমা দিয়েছে।

সিরিয়ায় সংকট সৃষ্টিতে সৌদি আরব ও কাতারের ভূমিকার কথা তুলে ধরে আসাদ জানান, দামেস্কের কাছে এমন কিছু দলিল-প্রমাণ রয়েছে যা থেকে স্পষ্ট যে, সৌদি আরব ও কাতার সন্ত্রাসীদের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র সরবরাহ করেছে। তিনি ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সন্ত্রাসীদের সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ইসরাইল সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসীদের অস্ত্র, গোয়েন্দা তথ্য ও চিকিতসা-সহায়তাসহ নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

আসাদ আরো বলেছেন, সিরিয়ার সরকার ও জনগণের জন্য একমাত্র যে পথটি খোলা রয়েছে তা হল প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়া; কারণ এ অঞ্চলের ভবিষ্যত সিরিয়ার চলমান পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীলতা গোটা বিশ্বের স্থিতিশীলতার ওপরও আঘাত হানছে।

Category: 1stpage, আন্তর্জাতিক, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply