সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে দোষীদের খুঁজে বের করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে
ইউরো সংবাদ: মস্কো সিরিয়ায় রাসায়নিক আক্রমণের জন্য দায়ীদের খুঁজে বের করার বিষয়ে অটল থাকবে. ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার প্রধান একমেতলেদ্দিন ইসহানোগলুর সাথে মস্কোয় মঙ্গলবারে সাক্ষাত্কারের সময় এই মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরোভ. পক্ষদ্বয় পারস্পরিক লাভজনক যোগাযোগ মজবুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন.
একমেতলেদ্দিন ইসহানোগলু সিরিয়ার ব্যাপারে মস্কোর কূটনৈতিক দৌত্যের উচ্চ মূল্যায়ণ করেছেন, যার দৌলতে রাষ্ট্রসংঘের সনদের ৭ নং ধারা প্রয়োগ এড়িয়ে যাওয়া গেছে. এক কথায় বলতে গেলে আমেরিকাকে সিরিয়ার বড় শহরগুলির উপর আকাশ থেকে আক্রমণ না হানার ব্যাপারে রাজি করানো গেছে. সেইসাথেই ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার প্রধান সিরিয়ার বিষয়ে শান্তিপূর্ণ ‘জেনেভা-২’ সম্মেলন ডাকার উদ্বোগকে সমর্থন জানিয়েছেন. –
ইহসানোগলু বলছেন – “আমাদের সংস্থা সম্পূর্ণ সমর্থন করে জেনেভা প্রক্রিয়া. সিরিয়ায় শান্তিস্থাপনের ক্ষেত্রে আমাদের সংস্থা নিজস্ব অবদান রাখতে প্রস্তুত.”
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরোভ জোর দিয়ে বলেছেন যে ‘জেনেভা-২’ সম্মেলন নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে. তিনি বলেছেন যে, রাশিয়া সিরিয়ার বিরোধীপক্ষের সাথে খোলামেলা আলোচনায় প্রস্তুত, যেহেতু সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের যোগদান ব্যাতীত এই কানাগলি থেকে বেরোনো সম্ভব নয়. তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপাতত বলতে পারছেন না যে, সিরিয়ার জেহাদি পক্ষ জেনেভায় সম্মেলনে যোগদান করতে আসবে কিনা. লাভরোভের কথায় জেহাদিদের সম্মেলনে যোগদান করানোর দায়ভার পশ্চিমী দেশগুলির উপর. –
“এখন কর্তব্য হচ্ছে সময় না খোয়ানো এবং সেই সব বিরোধীদের আলাপ-আলোচনার টেবিলে বসানো, যাদের কিছু স্বাভাবিক বুদ্ধিমত্তা আছে. যারা শুধুমাত্র নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিতে সম্মত নয়. রাসায়নিক অস্ত্র বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের কমিশন শুধুমাত্র দামাস্কাসের শহরতলীতে একটি রাসায়নিক আক্রমণের তদন্ত করেছে, যখন এরকম কয়েকটি আক্রমণ হয়েছে বাস্তবে. রাশিয়া এই বিষয়ে নিজস্ব তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং প্রাপ্ত সমস্ত প্রামাণ্য বিশ্ব জনসমাজের কাছে পেশ করবে.” –
লাভরোভ বলছেন – “আমরা বুঝতে চাইছি যে, রাষ্ট্রসংঘের কমিশনের পূর্ণ রিপোর্ট পেশ করা হবে কি না. মনে রাখতে হবে যে, যে সব জায়গায় কমিশনকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তার বেশিরভাগ জায়গাতেই কমিশনাররা পৌঁছাতে পারেননি. যাই হোক না কেন, আমরা আমাদের নিজস্ব তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি এটা বুঝতে, যে এই জঘন্য অপরাধের জন্য আদপে কারা দায়ী. আমরা অবশ্যই দোষীদের খুঁজে বের করবো এবং তাদের যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য নাছোড়বাঁধা থাকবো.”
১লা অক্টোবর থেকে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে. রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত সিদ্ধান্তপত্র অনুযায়ী, এক মাসের মধ্যে ঐ সব অস্ত্রের উত্পাদক যন্ত্রপাতি ধ্বংস করার কথা আর উত্ক্ষেপক রকেট, তার চার্জারগুলো এবং বিষক্রিয় সব পদার্থ এক বছরের মধ্যে ধ্বংস করার কথা.
Category: 1stpage, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, শীর্ষ সংবাদ