• ১৩ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,27 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

আমাকে ব্ল্যাকমেল করে দ্বিতীয় বিয়ে করে রুমি : অনন্যা

| অক্টোবর 27, 2013 | 0 Comments

ইউরোবিডি২৪নিউজঃ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমিকে ঘিরে সাম্প্রতিককালে নিত্যনতুন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আর এসব গুঞ্জনকে ঘিরে চটকদার খবরের শিরোনাম হচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া কিছু কর্মকাণ্ডের জন্য রুমি নিজেও বিতর্কের মুখে পড়েছেন। অন্যদিকে বেশ কয়েকটি দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাক্ষাত্কারে পারিবারিক পরিস্থিতির কথা জানাচ্ছেন তিনি। বক্তব্য রাখছেন তার প্রথম স্ত্রী লামিয়া আক্তার অনন্যাকে জড়িয়েও। তুলে ধরছেন অনন্যার সঙ্গে জনৈক শাহজাহান নামক এক ব্যক্তির অনৈতিক সম্পর্কের কথাও। রুমির মতে, পারিবারিক অশান্তির জন্য প্রথম স্ত্রী অনন্যাই দায়ী। এ বিষয়ে অনেকটাই চুপচাপ ছিলেন প্রথম স্ত্রী অনন্যা। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি।

অনন্যার মতে, তাদের এ ঝুট-ঝামেলার জন্য রুমির গোটা পরিবার দায়ী। মাঝখান দিয়ে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন কামরুন নেসা। যাকে রুমি দ্বিতীয় স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অনন্যা বলেন, আমাদের বিয়ের আগে থেকেই রুমির পরিবার আমার বাবা-মায়ের কাছে যৌতুক দাবি করে। কিন্তু সেই সময় আমাদের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। তাই রুমির মায়ের দাবিকৃত অনেক কিছুই দিতে পারেনি আমার পরিবার। পারিবারিক অশান্তির এটাও একটা কারণ। এ অশান্তিটা আরও বেড়ে ওঠে যখন কামরুন নেসাকে রুমি বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি আমাকে বলতে থাকেন, কামরুন নেসা তো মাসে দুই লাখ টাকা আয় করে। এ ছাড়া সে আমেরিকা প্রবাসী। আর তুমি তার সামনে কিছুই না।

রুমির সঙ্গে সাম্প্রতিক ঝামেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে অনন্যা বলেন, এ ঝামেলা প্রথম থেকেই ছিল। তবে সবকিছু সবসময় বলিনি। অনেক কথা নিজে সহ্য করেছি। অনেকেই মনে করেন রুমির দ্বিতীয় বিয়েতে আমার সম্মতি ছিল। অনেক পত্রিকায় আমাদের তিনজনের একসঙ্গে ছবিও ছাপা হয়েছে। কিন্তু এর পেছনের রহস্য অনেকেই জানেন না। অনেকটা ব্ল্যাকমেল করেই আমার কাছ থেকে রুমি- কামরুন নেসার কাবিননামায় সই নেওয়া হয়। সেই সময় সন্তান আরিয়ানকে তারা আমার কাছ থেকে সরিয়ে নেয়। বলা হয়, কাবিননামায় সম্মতি সই না দিলে আরিয়ানকে আর ফেরত পাবে না। অনেকটা চাপে পড়েই সম্মতি সই দিই। এর পর বেশ কয়েক দিন আমাকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল, কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। এককথায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় আমাকে। এর পরের ঘটনা অনেকেরই জানা। সেই স্ফুলিঙ্গের আগুন ধীরে ধীরে ছড়াতে থাকে আমার সংসারে। অন্যদিকে রুমি প্রায় সাত মাস যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়ে ঈদের আগে ঢাকায় আসে। এ সাত মাস আমার সঙ্গে তো দূরের কথা তার সন্তানের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ রাখেনি। এ রকম অনেক অজানা কাহিনীই রয়েছে, যা বলার মতো নয়। মুখ বুজে সহ্য করে গেছি।

বেশ কয়েক দিন ধরে শাহজাহান নামক এক ছেলের সঙ্গে অনন্যাকে জড়িয়ে বক্তব্য রাখছেন রুমি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনন্যা অস্বীকার করে বলেন, এগুলো সবই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। শাহজাহান মূলত রুমি, কামরুন নেসা ও আমার বন্ধু, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। আসলে রুমির বিরুদ্ধে আমি যে মামলা করেছি সেই মামলাকে প্ররোচিত করার উদ্দেশ্যেই শাহজাহানকে ঘিরে এই নাটক সাজানো হচ্ছে। এ ছাড়া মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অনন্যা বলেন, মামলা যা করেছি তা ভেবে-চিন্তেই করেছি। কারণ রুমির সঙ্গে সঙ্গে তার মা ও ভাইও আমাকে অত্যাচার করত। কিন্তু ঈদের আগে অনেকটা চাপে পড়েই জামিনদার হয়ে তার মুক্তি ত্বরান্বিত করি। সেই সময় একটি আপসনামা করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়, আরিয়ানের ভরণপোষণের জন্য রুমি আমাকে ২০ লাখ টাকা প্রদান করবে, যা ব্যাংকে ডিপোজিট করে রাখা হবে। এ ছাড়া আমার সঙ্গে সে আর খারাপ ব্যবহার করবে না। অধিকার দিবে স্ত্রীর প্রকৃত মর্যাদার। সবচেয়ে মজার কথা, আমরা তাদের কাছে যাইনি। তাদের গোটা পরিবার আমাদের বাসায় এসে অনেক কাকুতি-মিনতি করে রুমির জামিনের জন্য অনুনয়-বিনয় করেন। এমনকি এসব শর্তাবলী লেখার সময় সিডি চয়েজের এমদাদ ভাই, প্রিন্স ভাই, কাজী শুভ, ইলিয়াস, খেয়া, আরমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রুমির ব্যান্ড দলের মামুন, লিটন ও শান্তরাও ছিলেন। এরা সবাই এ শর্ত সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। তারা কোর্টেও গিয়েছেন। বলতে খারাপ লাগছে, তারপরও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, রুমির মা ও ভাবী আমার কাছে করজোড়ে মাফ চেয়েছেন। তারা বলেছেন, অতীতের সব ভুলে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে। শেষ পর্যন্ত তাকে জামিনের ব্যবস্থা করি, যা আরেকটা ভুল। কারণ জামিনে বের হওয়ার পরই সে এখন উল্টাপাল্টা কথা বলছে। চেষ্টা করছে আমি যেন নিজে নিজেই ওকে ডিভোর্স দিয়ে দিই।

এ ডিভোর্স প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, কামরুন নেসা চেষ্টা করছে রুমিকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেওয়ার। কিন্তু আমার সঙ্গে ডিভোর্স না হওয়া পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া সে সম্পন্ন করবে না। এ শর্ত দিয়েই রুমিকে সে ঘুরাচ্ছে। রুমি নিজেও আমাকে এ কথা বলেছে। অথচ মিডিয়ায় সে বলে বেড়াচ্ছে আমি নাকি তাকে ডিভোর্সের কথা বলেছি। তবে এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী মাসে আদালতে গিয়ে আমি আর কোনো সরলতা দেখাব না। আমার মামলায় অটল থাকব। যাব না কোনো আপসে।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, প্রচ্ছদ, বিনোদন

About the Author ()

Leave a Reply