• ১২ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,26 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

ইউরোপের অর্থনীতির উন্নতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল

| নভেম্বর 20, 2013 | 0 Comments

ইউরো সংবাদ: গত কয়েক বছরের সংকট কাটিয়ে ২০১৪ সালে ইউরোপ আবার প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে চলেছে৷ এমনকি স্পেনের মতো দেশও ব্যাপক সংস্কার চালিয়ে সঠিক দিশায় অগ্রসর হচ্ছে বলে ইউরোপীয় কমিশনের ধারণা৷

সোমবারই জানা গেছে, যে বাকি বিশ্বের সঙ্গে ইউরো এলাকার বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘ট্রেড সারপ্লাস’ ১২ মাসের মধ্যে শীর্ষ মাত্রায় পৌঁছেছে৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম সূচক এটা৷ এর মধ্যে জার্মানির অবদান সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য৷ উল্লেখ্য, রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিপুল সাফল্যের কারণে জার্মানিকে সম্প্রতি ইইউ ও অ্যামেরিকার কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ অভিযোগ উঠেছে, অন্যদের ব্যর্থতার মূল্যে জার্মানির এই উন্নতি ঘটছে৷ জার্মানি অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইউরোপের দেশগুলিকে সংস্কারের পথে এগোনোর পরামর্শ দিচ্ছে৷ তাদের মতে, বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা বাড়াতেই হবে৷

ইউরো এলাকার ‘কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস’ কমে যাবার ফলেও অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বাড়ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ ফলে লগ্নিকারীদের আস্থা বাড়তে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ তবে ইউরোপের ব্যাংকিং ক্ষেত্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ ইউরোপীয় ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষ ইবিএ-র প্রধান আন্দ্রেয়া এনরিয়া বলেছেন, আর্থিক সংকট সত্ত্বেও খুব কম সংখ্যক ব্যাংক বাজার থেকে উধাও হয়েছে৷ সরকারি হস্তক্ষেপের ফলেই অনেক ব্যাংক দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও বেঁচে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ব্যাংক নতুন নিয়মের ধকল সামলাতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে৷ মূলত শুধু সেই সব ব্যাংকই টিকে রয়েছে, যারা ভবিষ্যতে সংকটের ধাক্কা সামলাতে পারে৷

দীর্ঘ প্রায় ৬ বছরের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে স্পেন আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে বলে মনে করছে ইউরোপীয় কমিশন৷ তবে এর জন্য সংস্কারের গতি কমালে চলবে না৷ তা না হলে ঝুঁকি থেকেই যাবে৷ এদিকে বেলআউট-এর পরবর্তী কিস্তির জন্য গ্রিসকে আবার দাতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করতে হচ্ছে৷ কিছু শর্ত পূরণ করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকায় গ্রিস চাপের মুখে পড়েছে৷ আগামী ৯ই ডিসেম্বর ইউরোজোন অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷

এই অবস্থায় সোমবার ইউরোপের পুঁজিবাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল৷ ইউরোর বিনিময় মূল্যও বেড়ে গিয়েছিল৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টিমুলাস কর্মসূচি আপাতত চালু থাকবে, এমন ইঙ্গিত পেয়ে বাজার সন্তুষ্ট হয়েছে৷ মাসের শুরুতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমানোর ফলে স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোজোন সম্পর্কে কিছু ইতিবাচক পূর্বাভাষ৷ তাছাড়া জার্মানির কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য আচমকা বেড়ে যাওয়ায় সামগ্রিকভাবে ইউরোপের পুঁজিবাজার উপকৃত হয়েছে৷ তবে মঙ্গলবার ইউরোপের পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটেছে৷ বিশেষ করে ইউরোপীয় ব্যাংকগুলির শেয়ারের মূল্য পড়ে যায়৷

Category: 1stpage, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply