জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কিছু তথ্য
ইউরো সংবাদ: জার্মানিতে এসে যাঁরা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তাঁদের আমলাতন্ত্রিক নানা জটিলতার মধ্যে পরতে হয়৷ ফলে তাঁরা দিশেহারা হয়ে যান৷ তাঁদের সুবিধার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবার কমিক্স আকারে এই তথ্য পুস্তিকাটি রের করেছে৷
কিভাবে এগোবেন
গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ১৫ হাজার ৫৭৬ জন বিদেশি জামানিতে এসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন৷ তাঁরা যাতে কোনো রকম আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সম্মুখীন না হন, সেজন্য স্যাক্সনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জার্মানি সম্পর্কে তিনটি ভাষায় একটি তথ্যপুস্তিকা প্রকাশ করেছে৷ যাতে রয়েছে সহজ ভাষায় ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে শুরু করে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠানো পর্যন্ত নানা তথ্য৷
ভদ্রভাবে চলা
বিভিন্ন অফিস-আদালত বা কতৃপক্ষকে কোনো উপহার দেওয়া এ দেশে মোটেই ভদ্রতার মধ্যে পরে না বরং তাঁরা এতে বিরক্ত বোধ করেন৷ কাজেই সে ধরণের কোনো আচরণ না করাই ভালো৷ অন্যদিকে, কতৃপক্ষ কোনো উপহার নিলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাঁদেরও শাস্তি পর্যন্ত ভোগ করতে হয়
সহানুভূতিশীল
জার্মানিতে এসে যাঁরা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হন, তাঁদের থাকার জন্য আলাদা বাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে৷ সেসব বাড়িতে অনেকে একসাথে থাকেন এবং সেখানে থাকতে তাঁদের কারও যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য সবাইকেই বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়৷ তথ্য পুস্তিকাটিতে বিশেষভাবে লেখা রয়েছে যে, একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে এবং নিজের কারণে যেন অন্যের অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷
সময় সচেতনতা
সময় সচেতনতা সম্পর্কে জার্মানির খ্যাতি রয়েছে৷ কারুর যদি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার নিদিষ্ট সময় দেওয়া থাকে আর তিনি যদি কোনো কারণে সে সময় সেখানে না যেতে পারেন, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারকে ফোন করে জানিয়ে দিতে হবে৷ তাছাড়া ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া আশ্রয়প্রার্থীকে জার্মানিতে থাকার জরুরি কাগজ-পত্র বা টাকাও দেওয়া হবে না৷ জার্মানরা সময় সচেতন হলেও আজকাল মাঝেমাঝেই অবশ্য ট্রেনের সঠিক সময় রক্ষা করা যাচ্ছে না৷
স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক
জার্মানিতে তিন বছর বয়সি প্রতিটি শিশুর কিন্ডারগার্টেনে জায়গা পাওয়ার অধিকার রয়েছে৷ রাজনৈতিক আশ্রয়পার্থীদের বাচ্চাদের স্কুলের খরচ বহন করে জার্মান সরকার৷ জার্মানিতে ছয় বছর বয়স হলে বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক৷ এছাড়া, স্কুলে বিদেশি বাচ্চাদের জার্মান ভাষা শেখার জন্য বাড়তি সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়ে থাকে৷
রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য বিনা খরচে ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থাও রয়েছে জার্মানিতে৷ সেক্ষেত্রে ডাক্তারের পুরো খরচ বহন করে জার্মান সরকার৷ কোনো রকম মানসিক সমস্যা হলে তাঁদের মনোবিজ্ঞানীর কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়৷ এ সব ক্ষেত্রে কারো ভাষাগত সমস্যা হলে, দোভাষীর ব্যবস্থাও করা হয়ে থাকে৷
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, ইউরো-সংবাদ - German