• ৯ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,23 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

গ্রিসে অর্থনৈতিক সংকটের জের – মধ্যবিত্তরাও আতঙ্কে

| ফেব্রুয়ারী 2, 2014 | 0 Comments

ইউরো সংবাদ: গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের এক শহরতলী কিফিসিয়া৷ মারিয়া কেফালা সালমাতানি অভাবিদের খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধ বিলি করেন সেখানে৷ ২০০৩ সালে সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত হন তিনি৷

প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরদের জন্য একটি আশ্রম গড়বেন ভেবেছিলেন৷ কিন্তু… গ্রিসে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনকে অন্য বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হয়৷ তাই মারিয়া সালমাতানিকে এখন দুঃস্থদের দেখাশোনা করতে হচ্ছে৷

দানের অর্থে চলছে প্রকল্পটি

প্রাথমিক পর্যায়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকল্পটি দাঁড়িয়ে যায়৷ ৪০,০০০০০ ইউরো পাওয়া যায় তখন৷ এখন ব্যক্তিগত দানের অর্থে চলছে এই সাহায্য কর্মসূচিটি৷

‘‘আমাদের এলাকা ১৯৮০ সাল থেকে বিশিষ্ট জনদের বসতি বলে পরিচিত৷ কিন্তু এতে শুধু একটা দিকের চিত্রই পাওয়া যায়৷ কিফিসিয়ায় অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও বসবাস করেন, যাদের এখন বেকারত্বের কবলে পড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে”, বলেন ৬২ বছর বয়স্ক মারিয়া সালমাতানি ৷ এমন বহু পরিবার রয়েছে, যেখানে মা-বাবা দুজনেই উপার্জন করতেন৷ এখন দুজনেই চাকরিচ্যুত৷ এমনকি অর্থনৈতিক সংকটের কবলে পড়েছেন অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকও৷ প্রয়োজনীয় খাবার কেনার সামর্থ্যও নেই তাঁদের৷

নগর প্রশাসনের ১৯ জন কর্মী দৈনিক খাদ্যদ্রব্য বিতরণে কাজ করছেন৷ তাঁদের সাথে যোগ দিয়েছেন একটি সাহায্য প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা৷

অনেকেই নাম লিখিয়েছেন

কিফিসিয়ায় ১৭০ জন খাদ্যসাহায্য পাওয়ার জন্য তালিকায় নাম লিখিয়েছেন৷ কিন্তু অভাবগ্রস্তদের সংখ্যাটা আরো বেশি হবে৷ অনেকেই নিজের অভাবটা বাইরে প্রকাশ করতে চান না৷ আত্মসম্মানে বাধে৷ বলেন মারিয়া কেফালা-সালমাতানি৷

‘‘প্রায়ই আমরা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আভাসে ইঙ্গিতে জানতে পারি এই সব মানুষের অভাবের কথা৷ যেমন তাঁদের বাসায় লাইট জ্বলতে দেখা না গেলে৷ এতে অনুমান করা যায় হয়তো বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে”, বলেন কাউন্সিলর মারিয়া৷ এক্ষেত্রে মনস্তত্ত্ববিদ ও সমাজকর্মীরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাহায্য করতে চেষ্টা করেন৷ অবশ্যই যতটা সম্ভব লোকচক্ষুর আড়ালে৷

অভিজাত এলাকাও বাদ যায়নি

এথেন্সের উত্তরে অভিজাত এলাকা ফিচিকনে এ ব্যাপারে বিশেষ গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়৷ এখানকার অনেকে কল্পনাই করতে পারেনি যে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে একদিন তাঁদের পড়তে হবে৷ সাহায্যপ্রার্থী হওয়াটা তাঁদের কাছে অত্যন্ত লজ্জার বিষয়৷

অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার আগে ঐ এলাকায় বাড়ির মূল্য ছিল আকাশচুম্বী৷ এমন একটি অঞ্চলে অভাবিদের জন্য খাদ্যদ্রব্য বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে, সেটা নগর কর্তৃপক্ষ আগে ভাবতেই পারেননি৷ কিন্তু গত কয়েক বছরে ১২০ জন শহরের এই খাদ্য বিতরণকেন্দ্রে এসেছেন৷ সপ্তাহে একদিন বিরাট এক ভোজ্যপণ্যের সাহায্য প্যাকেট পান ভুক্তভোগীরা৷ ক্রিসমাসের সময় সবাই মিলে উৎসব করার জন্য আলাদাভাবে সাহায্য করা হয়৷

ভুক্তভোগীদের সঠিক সংখ্যাটা নগর কর্তৃপক্ষের জানা নেই৷ কেননা অনেকে আবার গির্জা কর্তৃপক্ষের কাছেও সাহায্যের জন্য যান৷ এক্ষেত্রে ক্যাথলিক গির্জা বেশ সক্রিয়৷ তাদের নিজস্ব খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র রয়েছে৷ সেখানে সাধারণত ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী অভিবাসীদের ভিড়ই দেখা যায়৷ যাদের অন্য কোথাও সাহায্য পাওয়ার আশা নেই৷

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply