ছেলেমেয়েদের মধ্যে কি শুধুই বন্ধুত্ব সম্ভব?
‘লাইফ স্টাইল: আমি শুধুই তোমার বন্ধু হতে চাই’ বা ‘আমাদের মাঝে কিন্তু বন্ধুত্ব ছাড়া আর কিছুই হবে না’, ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্বের সম্পর্কে এমন কথা অহরহ হয়ে থাকে। মূলত এ কথাটি ছেলে বা মেয়ের পক্ষ থেকে জুড়ে দেয়া এক অলিখিত শর্ত। এর অর্থ হলো বিপরীত লিঙ্গের এ দুই বন্ধু এ শর্তে রাজি যে, তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটি প্রেম-ভালবাসায় গড়াবে না। কিন্তু তা কি আদৌ সম্ভব? শেষ পর্যন্ত এর উত্তর হ্যাঁ সূচকই হয়। তবুও যথেষ্ট সন্দেহ নিয়ে মাথা ঘামিয়েছেন বিজ্ঞজনরা। ইতিমধ্যে তারা ১৮ হাজার ৩ শ জন নারী-পুরুষের ওপর একটি গবেষণাও চালিয়েছেন। এদের শতকরা ৩৪ জনের মতে, ছেলে ও মেয়ের বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্কের মাঝে একের প্রতি অন্যের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো ধীরে ধীরে পূর্ণতা পেতে থাকে। আর এ পূর্ণতাই আনে যেকোনো পরিণতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিণতি যাই হোক, একটি ছেলে আর একটি মেয়েকে শুধুমাত্র বন্ধুত্বের সংজ্ঞায় বেঁধে রাখা খুবই কঠিন কাজ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা অসম্ভবও বটে। যাইহোক, এ সম্পর্কের মধ্যে সাধারণত তিনটি পৃথক ঘটনা ঘটে থাকে। এখানে গবেষকদের এ বিষয়ের আলোচনা তুলে ধরা হলো:
চিত্র ১- পারস্পরিক আকর্ষণ নেই :
সাইকোথেরাপিস্ট এবং ‘দ্য পাথওয়ে অব লাভ’ বইয়ের লেখক জুলি অরলভের মতে, অবশ্যই নারী-পুরুষ শুধু বন্ধু হতে পারেন। এমনকি একজন মেয়ে তার ছেলে বন্ধুর সাথে বা একজন ছেলে তার মেয়ে বন্ধুর সাথে জীবনের সবচেয়ে চমৎকার মুহূর্তগুলো কাটাতে পারেন। জুলি নিজেই বললেন, আমার নিজেরও একাধিক ছেলে বন্ধু রয়েছে। তাদের কাউকে আমার বেশি ভাল লাগে। আবার কাউকে কিছুটা কম। আসলে একজন আরেকজনের প্রতি সেক্সচুয়ালি আকর্ষিত না হলে এ সম্পর্কে প্রেমের উদয় হয় না। আর এমনটি হলেই শুধু বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরে রাখা সম্ভব।
যাদের ওপর গবেষণা চালানো হয় তাদের শতকরা ৫৫ ভাগ বলেছেন, তাদের বহু বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু রয়েছে। তাদের প্রতি কখনো প্রেম নিবেদনের মানসিকতা তৈরি হয়নি। আর এ কারণে তাদের এ সম্পর্ক অটুট রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
চিত্র ২- যেকোনো একজন প্রেমে পড়েছেন :
দুজনের যেকোনো একজন অপরকে ভালোবেসে ফেলতে পারেন। এমন হতেই পারে এবং হয়েও থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে যিনি প্রেমে পড়ে যান তার ভেবে দেখতে হবে যে, বন্ধুটি নতুন করে তার ভালোবাসার মানুষ হতে পারবের কি না। অথবা এর ভবিষ্যতই বা কী হতে পারে। যদি বোঝেন যে অপরজন তাতে আগ্রহী নন, তবে আপনার এমন চিন্তা বাদ দেয়াই ভালো। আবার এসব পরিস্থিতিতে প্রায়ই দেখা যায়, যিনি প্রেমে পড়েন বলতে না পারার ক্রমাগত নিরাশা তাকে হতাশাগ্রস্ত করে তোলে। আর বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার মাধ্যমে তার ইতি ঘটে। ‘বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার চাবিকাঠি হলো প্রেম আর বন্ধুত্বের মাঝের দেওয়ালটিকে যত্নের সাথে ধরে রাখা’, জানালেন অরলভ।
একটা উদাহরণ দেয়া যাক। ধরুন, একটা ছেলে তার মেয়ে বন্ধুটির প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু বলতে পারছেন না। একসময় দেখা গেলো, মেয়ে বন্ধুটি অন্য একটি ছেলের সাথে চুটিয়ে প্রেম করছে। জুলি জানালেন, ‘এ ধরনের দৃশ্যপটে কষ্ট, হতাশা আর ক্ষোভে খুব শিগগিরই ছেলেটি তার মেয়ে বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন’।
চিত্র ৩- দুজনই দুজনের প্রেমে পড়েছেন, কিন্তু বলতে পারছেন না :
জুলির মতে, দুজন দুজনের প্রেমে পড়াটা বেশ জটিল এক পরিস্থিতি। উভয়ই একে অপরকে এ কথাটা মুখ ফুটে বলতে পারেন না। কারণ তারা দুজনই শুধুই বন্ধু। এ দেয়াল ভেঙে ফেলাটা যেকোনো এক পক্ষের জন্যে অনেক দুরূহ। আবার যদি এমন হয়, তাদের একজন বা দুজনই অন্য কারো সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে আছেন
এবং এখন এই বন্ধুটির প্রেমে পড়েছেন তাহলে এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতি আর হতে পারে না।
জুলি অরলভের পরামর্শ হলো, এ ক্ষেত্রে যার যার ভিতরের দেয়ালটিকে পরিষ্কারভাবে অনুভব করতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনি এ ভালো লাগার কথা না বলতে চান, তবে তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করুন। অন্যদিকে যদি এমন হয়, অন্য কারো সাথে আপনার সম্পর্ক রয়েছে, আবার বন্ধুটিকেও ভালো লাগতে শুরু করেছে। তবে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি আসলে কী চান। আবার যদি বুঝতে পারেন যে বন্ধুটি আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে, তাহলে আপনার প্রেমঘটিত সম্পর্কের খুঁটিনাটি নিয়ে তাঁর সাথে আলাপ করবেন না। তাতে করে সে আপনার প্রতি আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে পরিস্থিতি হবে আরো জটিল, মানসিক যন্ত্রণায় চেয়ে ফেলবে আপনাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিণতি যাই হোক, একটি ছেলে আর একটি মেয়েকে শুধুমাত্র বন্ধুত্বের সংজ্ঞায় বেঁধে রাখা খুবই কঠিন কাজ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা অসম্ভবও বটে। যাইহোক, এ সম্পর্কের মধ্যে সাধারণত তিনটি পৃথক ঘটনা ঘটে থাকে। এখানে গবেষকদের এ বিষয়ের আলোচনা তুলে ধরা হলো:
চিত্র ১- পারস্পরিক আকর্ষণ নেই :
সাইকোথেরাপিস্ট এবং ‘দ্য পাথওয়ে অব লাভ’ বইয়ের লেখক জুলি অরলভের মতে, অবশ্যই নারী-পুরুষ শুধু বন্ধু হতে পারেন। এমনকি একজন মেয়ে তার ছেলে বন্ধুর সাথে বা একজন ছেলে তার মেয়ে বন্ধুর সাথে জীবনের সবচেয়ে চমৎকার মুহূর্তগুলো কাটাতে পারেন। জুলি নিজেই বললেন, আমার নিজেরও একাধিক ছেলে বন্ধু রয়েছে। তাদের কাউকে আমার বেশি ভাল লাগে। আবার কাউকে কিছুটা কম। আসলে একজন আরেকজনের প্রতি সেক্সচুয়ালি আকর্ষিত না হলে এ সম্পর্কে প্রেমের উদয় হয় না। আর এমনটি হলেই শুধু বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরে রাখা সম্ভব।
যাদের ওপর গবেষণা চালানো হয় তাদের শতকরা ৫৫ ভাগ বলেছেন, তাদের বহু বিপরীত লিঙ্গের বন্ধু রয়েছে। তাদের প্রতি কখনো প্রেম নিবেদনের মানসিকতা তৈরি হয়নি। আর এ কারণে তাদের এ সম্পর্ক অটুট রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
চিত্র ২- যেকোনো একজন প্রেমে পড়েছেন :
দুজনের যেকোনো একজন অপরকে ভালোবেসে ফেলতে পারেন। এমন হতেই পারে এবং হয়েও থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে যিনি প্রেমে পড়ে যান তার ভেবে দেখতে হবে যে, বন্ধুটি নতুন করে তার ভালোবাসার মানুষ হতে পারবের কি না। অথবা এর ভবিষ্যতই বা কী হতে পারে। যদি বোঝেন যে অপরজন তাতে আগ্রহী নন, তবে আপনার এমন চিন্তা বাদ দেয়াই ভালো। আবার এসব পরিস্থিতিতে প্রায়ই দেখা যায়, যিনি প্রেমে পড়েন বলতে না পারার ক্রমাগত নিরাশা তাকে হতাশাগ্রস্ত করে তোলে। আর বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার মাধ্যমে তার ইতি ঘটে। ‘বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার চাবিকাঠি হলো প্রেম আর বন্ধুত্বের মাঝের দেওয়ালটিকে যত্নের সাথে ধরে রাখা’, জানালেন অরলভ।
একটা উদাহরণ দেয়া যাক। ধরুন, একটা ছেলে তার মেয়ে বন্ধুটির প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু বলতে পারছেন না। একসময় দেখা গেলো, মেয়ে বন্ধুটি অন্য একটি ছেলের সাথে চুটিয়ে প্রেম করছে। জুলি জানালেন, ‘এ ধরনের দৃশ্যপটে কষ্ট, হতাশা আর ক্ষোভে খুব শিগগিরই ছেলেটি তার মেয়ে বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন’।
চিত্র ৩- দুজনই দুজনের প্রেমে পড়েছেন, কিন্তু বলতে পারছেন না :
জুলির মতে, দুজন দুজনের প্রেমে পড়াটা বেশ জটিল এক পরিস্থিতি। উভয়ই একে অপরকে এ কথাটা মুখ ফুটে বলতে পারেন না। কারণ তারা দুজনই শুধুই বন্ধু। এ দেয়াল ভেঙে ফেলাটা যেকোনো এক পক্ষের জন্যে অনেক দুরূহ। আবার যদি এমন হয়, তাদের একজন বা দুজনই অন্য কারো সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে আছেন
এবং এখন এই বন্ধুটির প্রেমে পড়েছেন তাহলে এর চেয়ে কঠিন পরিস্থিতি আর হতে পারে না।
জুলি অরলভের পরামর্শ হলো, এ ক্ষেত্রে যার যার ভিতরের দেয়ালটিকে পরিষ্কারভাবে অনুভব করতে হবে। অর্থাৎ যদি আপনি এ ভালো লাগার কথা না বলতে চান, তবে তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করুন। অন্যদিকে যদি এমন হয়, অন্য কারো সাথে আপনার সম্পর্ক রয়েছে, আবার বন্ধুটিকেও ভালো লাগতে শুরু করেছে। তবে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি আসলে কী চান। আবার যদি বুঝতে পারেন যে বন্ধুটি আপনার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে, তাহলে আপনার প্রেমঘটিত সম্পর্কের খুঁটিনাটি নিয়ে তাঁর সাথে আলাপ করবেন না। তাতে করে সে আপনার প্রতি আরো বেশি দুর্বল হয়ে পড়বে। এতে পরিস্থিতি হবে আরো জটিল, মানসিক যন্ত্রণায় চেয়ে ফেলবে আপনাকে।
Category: 1stpage, লাইফ স্টাইল