• ৮ অগ্রহায়ণ ,১৪৩১,22 Nov ,2024
  • ব্রেকিং নিউজ : বাংলাদেশের রিকশাচিত্র পেল ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি

বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব এবং মোদির ঢাকা সফর

| জুন 1, 2015 | 0 Comments

modiবাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও দিল্লির কাছে এর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসন্ন ঢাকা সফরকে এত গুরুত্ব দেয়ার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি।

 নরেন্দ্র মোদি মনে করেন, দু’দেশের যোগাযোগ যত বাড়বে, পারস্পরিক আস্থাও তত বাড়বে। সেই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতেই একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে দিল্লি।

 ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারকে দেয়া সাক্ষাতকারেও মোদি আশা প্রকাশ করেন, তার ঢাকা সফর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় সূচিত করতে চলেছে। আনন্দবাজারকে তিনি আরো বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শান্তি এবং স্থায়িত্ব নিয়ে আসবে।’

 বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের ব্যাখ্যা করে বিশিষ্ট কলামিষ্ট জনাব ফরহাদ মজহার রেডিও তেহরানকে বলেন, এশিয়ার দুটি বড় দেশ-ভারত ও চীনের মাঝখানে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মুসলিম অধ্যুষিত ১৬ কোটি মানুষের  দেশ হবার কারণে ভারত, চীন বা মার্কিনীদের  নিকট এদেশের গুরুত্ব অনেক বেশি।

 বিষয়টি আর একটু খোলাসা করে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার সম্পাদক ড.রেজোয়ান সিদ্দিকী বলেন, ভারত চীনকে টেক্কা দিতে চায়, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহ দমন করতে চায় আর বঙ্গোপসাগরের নীল জলে আধিপত্য বজায় রাখতে চায় তাই বাংলাদেশকে  বাগে রাখতে হবে।

 নরেন্দ্র মেদির ঢাকা আগমনের আর একটি উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে ফরহাদ মজহার কলেন, বিশ্ববাজারে মোদির ব্যক্তিগত ভাব-মার্যাদা কিছুটা হলেও সাফ করার জন্য এ সফরকে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত।

 তবে ড.রেজোয়ান সিদ্দিকী অশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাদেশ আরো বেশি ভারতীয় অধিপত্যের আওতায় চলে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে  দেশের সচেতন মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হতে হওয়ার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

 এদিকে নরেন্দ্র মোদি আশা ব্যক্ত  করছেন, সীমান্ত নিয়ে মনোমালিন্য মিটে গেলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হবে।

 ঢাকা সফরকে সামনে রেখে শনিবার ভারতের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে জাহাজ পরিবহণ বিষয়ক একটি চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেই চুক্তি অনুসারে দু দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণের পথ আরও সুগম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 তাছাড়া, সীমান্তবর্তী এলাকায় যেখানে যেখানে চেকপোস্ট আছে, ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন আছে সেখানে দ্রুত সড়ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় এই মুহূর্তে বাংলাদেশই ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য সহযোগী। ফলে এই চুক্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করছে ভারত।

Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, আন্তর্জাতিক, ইউরো সংবাদ, ইউরো সংবাদ, শীর্ষ সংবাদ

About the Author ()

Leave a Reply