ভারতে দাবদাহে মৃত্যুর মিছিল, শান্তির বারির অপেক্ষায় কোটি মানুষ
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য৷ বৃষ্টির দেখা নেই৷ কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রিতে উঠেছে৷ এ পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত ১৪শ’ মানুষ৷
তিষ্ঠ ক্ষণকাল
দাবদাহে সবচেয়ে অসহায় অবস্থা ছিন্নমূল মানুষদের৷ নিজের ঘর-বাড়ি নেই বলে পথই তাঁদের ঠিকানা৷ হায়দ্রাবাদের এই গৃহহীন তীব্র গরম সইতে না পেরে তাই পথের পাশেই শুয়ে পড়েছেন৷ একটু জিরিয়ে না নিলে যে বাঁচা দায়!
দীর্ঘ দগ্ধ দিন
অনেকদিন হলো বৃষ্টির দেখা নেই৷ মাথার ওপরে অগ্নি আকাশ৷ আগুনে তাপ থেকে বাঁচতে নাক-মুখ-চোখ সব ঢেকে তবেই বাইরে এসেছেন একজন৷ উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশে শিগগিরই মৃদু বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ তবে জুন মাসের আগে দাবদাহ থেকে পুরোপুরি মুক্তির সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ৷
অসহায় পুলিশ
নতুন দিল্লিতেও ভয়াবহ অবস্থা৷ অসহ্য গরমে স্বাভাবিক জীবনযাপন মারাত্মকভাবে ব্যাহত৷ দিনের আলোয় খোলা আকাশের নীচে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব৷ ছবির এই পুলিশ তাই একটু ছায়ার আশ্রয়ে৷
পুকুর শুকিয়ে ‘ডোবা’
এলাহাবাদের ফাফামাউ গ্রামের এই জলাশয় কিছুদিন আগেও বড়সড় একটা পুকুর ছিল৷ সেই পুকুরের এই অবস্থা৷ হাঁটু জলে হেঁটে হেঁটেই মাছ খুঁজছেন জেলেরা৷
জলশয্যা
এটিও অন্ধ্র প্রদেশের ছবি৷ গরম থেকে বাঁচতে নদীবক্ষে আশ্রয় নিয়েছেন একজন৷ স্রোতে এমনভাবে গা ভাসিয়েছেন যেন বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন৷
শান্তির বারি
এলাহাবাদের এক ট্রেনযাত্রী যাত্রা শুরুর আগেই গরমে কাহিল৷ এক রেলকর্মীর সহায়তায় প্ল্যাটফর্মের কলের সঙ্গে সংযুক্ত পাইপ নিয়ে ট্রেনেই সেরে নিলেন গোসল৷
আনন্দ
পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে তাপমাত্রা সেদিন ৪৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷ দুটি কিশোর নেমে পড়ল সবরমতি নদীতে৷ গরম থেকে ক্ষণিকের নিস্তার তো মিললই, পাশাপাশি ‘সমারসল্ট’, অর্থাৎ শূন্যে ডিগবাজি খেয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার আনন্দও উপভোগ করা হলো চুটিয়ে৷
‘বর্ষণ যাচে যথা’
রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘‘তাপিত শুষ্কলতা বর্ষণ যাচে যথা/ কাতর অন্তর মোর লুণ্ঠিত ধূলি ‘পরে৷’’ গরমে অতিষ্ঠ এই নির্মাণ শ্রমিকও লুটিয়েই পড়ছিলেন৷ টুকরিতে শরীরটা রেখে দেয়ালে মাথাটা এলিয়ে দিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টাই করছেন তিনি৷
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, আন্তর্জাতিক, ব্রেকিং নিউজ