সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
দেশের খবর: ফরিদপুরে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ফরিদপুরের আমলি আদালত-১ এর বিচারক হামিদুল ইসলাম এই নির্দেশ দেন। ১৮ আগস্ট মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার বিকেলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা থেকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলি আদালতে হাজির করা হয় প্রবীর সিকদারকে। তাকে দশদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের বিচারক।
এর আগে রোববার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই তাকে কোতোয়ালি থানায় রাখা হয়। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহসিনুল হক জানান, প্রবীর সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আদালতের কাছে দশ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হয়।
প্রবীর সিকদার নিউজপোর্টাল উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ এবং বাংলা দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
রোববার রাতে প্রবীর সিকদারকে তার রাজধানীর ইন্দিরা রোডের কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা এপিপি অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার পাল রোববার বিকেলে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার আরজিতে বলা হয়, সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে প্রবীর সিকদার বলেন, তার মৃত্যু হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার দায়ী থাকবেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কবির বলেন, ফেসবুক স্ট্যাটাসে মন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, এপিপি স্বপন পাল প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইন-২০০৬ সালের (সংশোধিত-২০১৩)এর ৫৭(১) ধারায় ওই মামলা করেন। ওই মামলায় প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এদিকে প্রবীর সিকদারের ছেলে সুপ্রিয় সিকদার ও ভাই সুবির সিকদার জানিয়েছেন, প্রবীর সিকদারের পক্ষে আইনী সহায়তার জন্যে আইনজীবিদের কাছে গেলে কেউ তার (প্রবীর সিকদার) পক্ষে আইনি সহায়তা দিতে রাজি হননি। তারা জানান, কয়েকজন আইনজীবি জানিয়েছেন, জেলা আইনজীবি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন আইনজীবি বাদী হয়ে মামলা করলে প্রতিপক্ষকে কোন আইনজীবি আইনগত সহায়তা প্রদান করতে পারবেন না, যদি না নির্বাহী পরিরষদ কোন অনুমোদন দেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা আইনজীবি সমিতি, ফরিদপুরের সভাপতি এ্যাডভোকেট আ. কাদের মোল্লা জানান, প্রবীর সিকদারের পক্ষে আইনী সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আইনজীবি নিয়োগের জন্যে কোন আবেদন পাইনি। আবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, কোন ঘটনায় জেলা আইনজীবি সমিতির কোন সদস্য সংক্ষুব্দ হয়ে সমিতির নির্বাহী পরিষদকে জানালে নির্বাহী পরিষদ রেজ্যুলেশন করে মামলা দায়ের করলে, সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ আইনী সহায়তার লক্ষ্যে আবেদন করলে নির্বাহী বোর্ড বসে সিদ্ধান্ত দেবে প্রতিপক্ষের পরামর্শক (উকিল) নিয়োগের।
Category: 1stpage, Scroll_Head_Line, দেশের খবর, শীর্ষ সংবাদ