আজকের খুলনা ০২মার্চ -২০১৩ (শনিবার),এম শিমুল খান, খুলনা অফিস
খুলনা ০২মার্চ -২০১৩ (শনিবার),এম শিমুল খান, খুলনা অফিস
খুলনায় ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা
ঃ খুলনার রূপসা উপজেলায় সেলিম রেজা (৪০) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহত সেলিম খুলনার সুমি সুমাইয়া ফিসের মালিক। শনিবার দুপুর ৩টায় উপজেলার আমদাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, দু’টি মোটরসাইকেলে ৪জন লোক দুপুরের দিকে আমদাবাদ এলাকায় আসেন। মোটরসাইকেলে সেলিমও ছিল। দুপুর ৩টার পর তারা রাস্তায় সেলিমের গলা কাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সন্ত্রাসীরা সেলিমকে জবাই করে হত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুলনা সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, নিহত সেলিমের বিরুদ্ধে দশের অধিক মামলা রয়েছে। এদিকে নিহত সেলিম রেজা দুই বছরের মত নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ সে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক একুশে সংবাদ এর প্রধান সম্পাদক এবং খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক অনির্বান পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসাবে পত্রিকায় তার নাম প্রকাশিত হত। প্রত্যদর্শীরা আরো জানান, রাস্তার পাশে ঘটনাস্থলে একটি মটর সাইকেল রাখা আছে। মটর সাইকেলের সামনে অপরাধ চিত্র নামে একটি সংবাদপত্রের স্টিকার লাগানো ছিল। লাশের পাশে দেশি অস্ত্র রয়েছে। এলাকার মানুষ লাশটিকে ঘিরে নানা মন্তব্য করছে। হত্যার কারণ আপাতত জানা যায়নি। সে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৮ মার্চ রূপসা রেড়িবাঁধ হ্যান্ডলিং শ্রমজীবী ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ হত্যা হতে পারে বলে পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানিয়েছেন। নিহত সেলিম জালাল উদ্দিনের পুত্র।
মংলা-খুলনা মহাসড়কে ১৪৪ ধারা জারি
ঃ মংলা-খুলনা মহাসড়কের ফয়লা এলাকায় আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী একই সময় সভা ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকে দু’দলই ওই এলাকায় এ সভার প্রস্তুতি নিলে মারমুখি সংঘাত এড়াতে এ সতর্কতা জারি করা হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আনোয়ার হোসেন জানান, পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের পুলিশ সদস্যরা সেখানে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার বার জামায়াতে ইসলামী খুলনা-বাগেরহাট সড়কে দীর্ঘণ অবস্থান করে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার বাগেরহাটের কচুয়ায় শিয়ালকাঠী এলাকায় পুলিশকে মারপিট ও কাজে বাঁধাদানের আভিযোগে অজ্ঞাত ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অপরদিকে সদর থানায় হরতালে গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে ৬০ জনকে আসামি করে পৃথক দু’টি মালায় হয়েছে। পুলিশ এঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ২ জনকে আটক করেছে।
চলছে ব্যাপক দূষণ ও দখল দারিত্বের মহোৎসব
বুড়িগঙ্গার মত পরিণতি বরণ করতে যাচ্ছে খুলনার ভৈরব ও রুপসা নদী
ঃ খুলনা মহানগরীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা রূপসা ও ভৈরব নদীর পানি ব্যাপক দূষণের কবলে পড়ে ক্রমেই বিষাক্ত হয়ে উঠছে। নদীর তীরে অবস্থিত ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, কঠিন বর্জ্য, ঝুলন্ত পায়খানায় নির্গত মানব বর্জ্য, শত শত ড্রেন বেয়ে আসা ময়লা আবর্জনা বিষিয়ে তুলছে এ দু’টি নদীর পানি। এছাড়া অবৈধভাবে খাল ও নদী দখলের প্রতিযোগিতায় প্রতিনিয়ত সংকুচিত হয়ে আসছে এসব নদী ও খাল। পরিবেশবিদদের আশংকা দূষণ ও দখল প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে রূপসা ও ভৈরবের পরিণতি হবে বুড়িগঙ্গার মতো। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগরীর তিন দিক নদী দ্বারা বেষ্ঠিত। নগরীর পাশে রয়েছে রূপসা, ভৈরব, ময়ূর ও কাজীবাছা নদী। ভৈরব ও রূপসার দুই তীরে ফিস্ প্রসেসিংসহ ৫৩টি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে ৪০টির। এসব প্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক বর্জ্য নদীর পানিতে মিশছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়া কারখানার বর্জ্য শোধন করে রূপসায় ফেলার নিয়ম থাকলেও খরচ বাঁচাতে অনেক প্রতিষ্ঠানই সে নিয়ম মানছে না। নগরীর দৌলতপুর-খালিশপুর এলাকায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নামে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন-এর তিনটি তেলের ডিপো ধোয়া-মোছার পর সেই তেলযুক্ত পানি সরাসরি চলে যাচ্ছে ভৈরব নদে। পরিবেশবিদদের মতে ভেসে থাকা তেলের কারণে সূর্যের আলো নদীর পানির নিচের স্তর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। ফলে মাছ ও জলজ প্রাণীর স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘিœত হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য পোনার নার্সারী গ্রাউন্ড ধ্বংস হচ্ছে। এছাড়া ভৈরব ও রূপসা নদীর দুই তীরে রয়েছে ১০টি পাটকল। এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যও মিশে যাচ্ছে নদীর পানিতে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও ম্যাচ ফ্যাক্টরীর রাসায়নিক বর্জ্য নদীতে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী নদী দূষণের জন্য আরেকটি কারণ হলো সিটি কর্পোরেশনের কয়েকশ’ ড্রেনের পানি কোন ধরনের শোধন ছাড়াই সরাসরি নদীতে গড়িয়ে পড়া। এছাড়া নদীর তীরে রয়েছে অসংখ্য ঝুলন্ত পায়খানা। যেভাবে দূষিত পানি, বর্জ্য ও রাসায়নিক দ্রব্য নদীতে পড়ছে তাতে পানি আর বেশিদিন ব্যবহারের উপযোগী থাকবে না এমন আশংকা পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার। ওই কর্মকর্তা জানান, একটি বেসরকারি সংস্থা অভয়নগর থেকে মংলা পর্যন্ত নদীর পানি দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করছে। সহসাই তালিকাভুক্ত ওই সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়া হবে। অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর থেকে খুলনায় নদী ও খাল দখলে চলছে মহোৎসব। সূত্রমতে, রূপসা ও ভৈরবের দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার তীর ভূমির অধিকাংশ স্থান অবৈধ দখলদারদের কবলে। হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারক কয়েকটি কারখানা, পাথর ভাঙ্গা প্রতিষ্ঠান, বেশ কিছু দোকানপাট, বস্তি বাড়ি গড়ে উঠছে নদীর তীর দখল করে। খুলনার সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার ‘বড় বাজার’ এর একটি বড় অংশ নদী দখল করে আছে ব্যবসায়ীরা। বিআইডব্লিউটিএ ইতোপূর্বে একাধিক নদী দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করে। ওই তালিকা অনুযায়ী রূপসা ও ভৈরব নদীর তীরে কমপে ২ শতাধিক অবৈধ দখলদার রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ সূত্রমতে, নদীর দু’তীরে আমাবস্য ও পূর্ণিমার জোয়ারের সর্বোচ্চ জলরেখা থেকে ৫০ গজ ওপর পর্যন্ত জমি বিআইডব্লিউটিএ’র। এসব জমিতে স্থাপনা গড়তে হলে তাদের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে নগরীর লবণচরা থেকে মজুদখালী পর্যন্ত রূপসা ও ভৈরব নদীর দুই তীরে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা স্থাপনা। ময়ূর নদী দখল করে পাকা ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। কাজিবাছা ও ময়ূর নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখল ও নদীতে নানা বর্জ্য ফেলে নদীকে করছে সংকুচিত এবং পানি হচ্ছে দূষিত। এছাড়া নদীর গভীরতা হ্রাস পেয়েছে। পলি ও বর্জ্য দ্বারা অব্যাহতভাবে ভরাট হচ্ছে। কাজীবাছা নদী দখল করে মাছের ঘের, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা নির্মাণ এবং শুকনা মৌসুমে ধান চাষ করা হয়। জানা যায়, বিভিন্ন সময় অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে পরিবেশবাদী বেসরকারি সংস্থা বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারি মাহাফুজুর রহমান মুকুল বলেন, ইনভারমেন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ই,টি,পি)’র ছাড়পত্র ছাড়াই নদীর দু’পাড়ে গড়ে ওঠা ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ই,টি,পি থাকলেও খচর বাড়ার ভয়ে তা’ ব্যবহার করা হয় না। এ বিষয় দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তা ব্যক্তিরা অজ্ঞাত কারণে বরাবরই নীরব থাকেন। তিনি নদী দূষণ ও দখল রোধে ঢাক-ঢোল না পিটিয়ে ঝটিকা অভিযানের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি আহবান জানান।
খুলনায় দ্বিতীয় হাজ্বী সমাবেশে সিটি মেয়র
শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকাবস্থায় পবিত্র হজ্ব পালন করা উচিত
ঃ বিশ্ব মুসলিমের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া, পবিত্র হজ্বের পটভূমি ও গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা, আরাফাতী শিা অনুশীলনের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি, পবিত্র হজ্ব পালনের পর করণীয় ও বর্জণীয়সহ হজ্ব সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে খুলনায় শনিবার সম্পন্ন হয়েছে দ্বিতীয় হাজ্বী সমাবেশ। হাজ্বী কল্যাণ ফাউন্ডেশন খুলনার আয়োজনে খুলনা মহানগরীর টাউন জামে মসজিদে এ হাজ্বী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাবস্থায় পবিত্র হজ্ব পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্র হুকুম পালন করা উচিত। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড. আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও পরিচালক (পাবলিক রিলেশন) আলহাজ্ব ইঞ্জি: রুহুল আমিন হাওলাদারের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল জলিল এবং ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক ও বিভাগীয় প্রেসকাব ফেডারেশনের চেয়ারপার্সন আলহাজ্ব লিয়াকত আলী। হাজ্বী কল্যাণ ফাউন্ডেশন হাজ্বীদের সংগঠিত করে হাজ্বী সমাবেশ পালনের মাধ্যমে উপ-মহাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক পটভূমি তৈরি করছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, মানব সেবায় এ ফাউন্ডেশন দৃষ্টান্ত মূলক কাজ করছে। বক্তারা আরও বলেন, হজ্বের পর করণীয় ও বর্জণীয় সম্পর্কে আরও বেশি অবহিত হওয়ার জন্যই এ সমাবেশ। এ সমাবেশ আরাফাতী ভাই-বোনদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির পাশাপাশি সমাজ জীবনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলহাজ্ব শেখ মুহা: সাহেব আলী, হাজ্বী সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব শরীফ ফজলুর রহমান, আলহাজ্ব মাওলানা আবুল হোসেন, আলহাজ্ব অধ্যাপক মাওলানা আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, আলহাজ্ব মাওলানা গোলজার হোসেন, আলহাজ্ব মাওলানা এ.এফ.এম. নাজমুস সউদ, আলহাজ্ব মাওলানা আ.খ.ম. জাকারিয়া, আলহাজ্ব মাওলানা মোনাওয়ার হোসাইন মাদানী, সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রোটা: মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন, খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ও টাউন জামে মসজিদের খতীব আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি পর্দা সহকারে নারী হাজ্বীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজাকার মুক্ত খুলনার অঙ্গিকার
ঃ দণি জনপদের বড় জেলা খুলনাকে রাজাকার মুক্ত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, খুলনার নেতৃবৃন্দ। পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটি গঠন করে যারা গনহত্যা চালিয়েছিল, খুলনার গল্লামারীতে শত শত লোককে হত্যা করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করে খুলনাকে স্বাধীনতার শত্র“মুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি নেতৃবৃন্দ আহবান জানিয়েছেন। শনিবার বেলা ১১টায় খুলনা মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানব বন্ধন কর্মসূচির সমাবেশে বক্তারা এ আহবান জানান। বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার শত্র“প মানবতা বিরোধী অপরাধ ঠেকাতে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা সম্পদ ও রাজনৈতিক দলের অফিসে অগ্নিসংযোগ করে তান্ডব চালাচ্ছে। সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করে তাদেরকে হত্যা করছে। এই অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। নেতৃবৃন্দ রবিবার থেকে ৩ দিনের হরতাল প্রত্যাখ্যান করার জন্য খুলনাবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। জাতীয় পতাকার অবমাননা, দেশব্যাপী নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এবং জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ এ মানব বন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লিয়াকত আলী শরীফ, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুবীর রায়, এস এম জাহিদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অধ্যাপক আলমগীর কবীর, আইনজীবী সুলতানা রহমান শিল্পী ও খুবির শিক ড. আফরোজা পারভিন বক্তৃতা করেন।
খুলনার পাইকগাছায় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি বহিস্কার
ঃ খুলনার পাইকগাছায় প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি ও শিবির নেতাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে যুবলীগের ইউনিয়ন সভাপতিকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। শনিবার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কাজল কান্তি বিশ্বাসের স্বারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষনাকে কেন্দ্র করে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোঃ ইউনুচ আলী মোড়লকে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটুক্তি করার অপরাধ ও শিবির নেতাকে সহযোগিতা করার ঘটনায় সংগঠনের প থেকে তাকে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
খুলনার পাইকগাছায় ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু
ঃ খুলনার পাইকগাছায় আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার সুজন কুমার সরকারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ শনিবার অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে উপজেলার লস্কর গ্রামের আনন্দ কুমার ঢালীর অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী বনিতা রাণী ঢালীকে ডেলিভারী জনিত কারনে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সুজন কুমার সরকার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন বলে ভূক্তভূগীরা জানিয়েছে। দীর্ঘ সময় প্রসব বেদনায় ছটফট করার এক পর্যায়ে শনিবার বেলা ৩টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার কর্মস্থলে এসে মুমুর্ষূ অবস্থায় স্বাভাবিক ডেলিভারী করলে কিছুন পর নবজাতক শিশুপুত্র মৃত্যুবরণ করেন। ভূক্তভোগীর স্বজন মহানন্দ জানান, একদিকে ডাক্তার বিলম্বে এসেছে, অপরদিকে বার বার রোগীকে অপারেশনের কথা বললে ডাক্তার গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো তাদেরকে ধমক দেয়। এ সময় কর্তব্যরত নার্সরাও তাদের সাথে দূরব্যবহার করে বলে ভূক্তভোগীরা জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্তব্যরত ডাক্তার সুজন কুমার সরকার বিষয়টি কৌশলগত ভাবে এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে একাধিক এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
কুয়েটে জাতীয় সংগীত এর সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন
ঃ শনিবার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। শাহাবাগের প্রজন্ম চত্বরের ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ থেকে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুয়েটে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরসহ, বিপুল সংখ্যক ছাত্র, শিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমবেত হয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় উপস্থিত সকলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ থেকে রাজাকার ও সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্মূলের এবং যুদ্ধপরাধীদের দ্রুত ফাঁসির দাবী জানান।
হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধন
জামায়াত শিবিরকে প্রতিরোধ নয় প্রতিশোধ নিতে হবে
ঃ গত কয়েকদিন যাবৎ সারাদেশে জামায়াত-শিবির হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনকরে যে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে তা ৭১ সালের পাক হানাদার বাহিনীর হামলাকে হার মানায়। এর আগে বিভিন্ন বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়ে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়েছে। জামায়াত শিবিরের এই হামলায় আর কোন প্রতিবাদ নয় এবার থেকে প্রতিশোধ নিতে হবে। যেখানেই জামায়াত-শিবির সেইখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের প্রতিবাদে শনিবার দুপুর ১২টায় খুলনার পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশে এ কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহজোট খুলনা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। হিন্দু ছাত্র মহাজোট খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি অভিজিৎ পালের সভাপতিত্বে ও ছাত্র মহাজোট নেতা গোপাল চন্দ্র সাহার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কমার্স কলেজের ছাত্র প্রশান্ত কুমার গাইন, বি এল কলেজের ছাত্র ব্রজ কিশোর পাল, চয়ন বালা, সুন্দরবন কলেজের ছাত্র অমিত সরকার, পাবলিক কলেজের ছাত্র সৌরভ মল্লিক, কমার্সকলেজের ছাত্র আশিস কুমার কুন্ডু, সন্তু ভদ্র, কুমারেশ দেবনাথ, চিন্ময় মিত্র, পঙ্কজ তালুকদার। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ছাত্র মহাজোট নেতা প্রশান্ত মন্ডল, রতন, তাপস কুমার বিশ্বাস, প্রকাশ বিশ্বাস, অময় মল্লিক, মিঠুন, রিপন, কৌশিকসহ বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।
রশিদ খোকনের ১১তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বক্তরা
সাংবাদিকদের হত্যা করে কখনও সত্য ও ন্যায়কে ধামাচাপা দেয়া যায়না
ঃ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ’৭১-এ যেমন সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানের দোসর জামায়াত-শিবির বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করার অপচেষ্টা করেছিল, ঠিক তেমনি একই কায়দায় ২০০২ সালে খুলনায় সাহসী সাংবাদিক রশিদ খোকনকে হত্যা করে সাংবাদিক সমাজের কলম চিরতরে স্তদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু সাংবাদিকরা কোন রক্তচুর পরোয়া না করেই সব সময় দেশ, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং সংবিধানকে রা করার কাজে অবিরত কলম চালিয়ে যাচ্ছে। রশিদ খোকন দেখিয়ে গেছেন দেশপ্রেম এবং সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকলে কেউ কখনও মরে না। সাংবাদিকদের হত্যা করে কখনও সত্য ও ন্যায়কে ধামাচাপা দেয়া যায়না। বক্তরা আরো বলেন, জামায়াত-শিবির আবারও সক্রিয় হয়েছে সাংবাদিক নির্যাতন ও নিধন করে তাদের অন্যায়কে ধামাচাপা দিতে। সেকারনেই তারা আজ সাংবাদিকদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। বক্তরা আরো বলেন, দেশে আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাযক্রম চলছে। এই বিচার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে জামায়াত-শিবির আজ দেশব্যাপী হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জামায়াত-শিবিরকে দেশে হত্যা আর নৈরাজ্য করার উস্কানী দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি আজ দেশকে দ্বিধা বিভক্ত করে দিয়েছেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়া উস্কানীমূলক বক্তব্য ও জামায়াত শিবিরের দেশব্যাপী হত্যা ও নৈরাজ্যের তীব্র নিন্দা জানান। বক্তরা দেশকে বিভক্ত না করে স্বাধীনতা ও মুুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অুন্ন রাখতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বক্তরা উস্কানীমূলক সংবাদ পরিবেশন করে দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমার দেশ ও নয়া দিগন্ত পত্রিকা বর্জনের জন্য দেশপ্রেমিক সকল মানুষের প্রতি আহবান জানান। খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং খুলনা প্রেসকাবের সাবেক সহ-সভাপতি হারুন-উর-রশিদ খোকনের ১১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপল্েয অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন। খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, খুলনা প্রেসকাবের সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসকাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলী, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসকাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুবির রায়, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক আহমেদ, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে বাপি, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, দেবনাথ রণজিত কুমার, হেদায়েত হোসেন মোল্লা প্রমুখ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, এ্যাডঃ ফরিদ আহমেদ, ইউনিয়নের কোষাধ্য সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, ফটো সাংবাদিক দেবব্রত রায়, মাছরাঙা টিভির আবু হেনা মোস্তফা জামাল পপলু, ফটো সাংবাদিক জাহিদ হোসেন, দেশ টিভির আমিরুল ইসলাম, ক্যামেরাম্যান এম.এম মিন্টু, বিপ্লব চক্রবর্তী, ক্যামেরাম্যান হাসান আল মামুন, ক্যামেরাম্যান শেখ আমিনুর রহমান নিউটন, সাগর সরকারসহ বিভিন্ন স্তরের সাংবাদিক। আলোচনা সভার শুরুতেই হারুন-অর-রশিদ খোকনের রুহের মাগফেরাত কামনায় দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে কাব চ্ত্বরে সাংবাদিক স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
ফ্যাসিবাদি সরকার মতা আকড়ে থাকতে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা শুরু করেছে———-নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি
ঃ খুলনায় বিএনপির বিােভ সমাবেশে নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি বলেছেন, ফ্যাসিবাদি সরকার মতা আকড়ে থাকতে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা শুরু করেছে। সারাদেশে আইন শৃংখলা রাবাহিনী জনগনের টাকায় কেনা অস্ত্র-গুলি জনগনকে খুনের কাজে ব্যবহার করছে। শাহবাগের মোড় থেকে দেশ চালোনা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কবে কখন জাতীয় পতাকা উড়বে, কাকে কাকে ফাঁসি দিতে হবে, প্রশাসন কি ভাবে পরিচালিত হবে, সব হুকুম আসছে ইমরান এইচ সরকারের কাছ থেকে। এই বিকল্প সরকার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন্য অচিরেই বড় হুমকি হয়ে দেখা দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ ও মানুষ বাঁচাতে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অখন্ডতা রা করতে, সর্বপরি আল্লাহ ও রাসুলের অবমাননা ঠেকাতে ১৬ কোটি মানুষের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের শপথ নিয়ে রাজপথে নেমে আসার কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সারাদেশে যখন চরম নৈরাজ্য চলছে তখন অধিকাংশ মিডিয়ার দৃষ্টি ভ্রান্ত জায়গায় নিবন্ধিত। এ সময় সত্য প্রকাশের দায়ে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ধ্বংসের নেশায় মেতে উঠেছে। হামলা হচ্ছে বিরোধী মতের মিডিয়ার ওপরে। আগামী মঙ্গলবারের হরতালসহ আগামী সকল আন্দোলন কর্মসূচী সর্বাত্মকভাবে সফল করে এ সরকারকে মতা থেকে হঠাতে হবে। শনিবার বিকেলে খুলনায় অনুষ্ঠিত বিএনপির বিােভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি এসব কথা বলেন। নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করা, দেশব্যাপী জুলুম-নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেফতার এবং গণহত্যার প্রতিবাদে মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম নূরুল ইসলাম দাদু ভাই। বক্তব্য রাখেন, মনিরুজ্জামান মনি, অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, সাহারুজ্জামান মোর্তুজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, ফখরুল আলম, আমীর এজাজ খান, অধ্য তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, আরিফুজ্জামান অপু, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশীদ, সিরাজুল হক নান্নু, আবু হোসেন বাবু, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, মোল্লা খায়রুল আলম প্রমুখ। সমাবেশের শুরুতে গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলি এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদনি করে।
খুলনা ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের অভিনন্দন
ঃ পহেলা মার্চ অনুষ্ঠিত খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনে দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক আনোয়ারুল ইসলাম কাজল সভাপতি ও ফটো সাংবাদিক আব্দুল মালেক সহ-সভাপতিসহ যারা নির্বাচিত হয়েছেন এসোসিয়েশনের প থেকে তাদের সকলকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করে বলেন যে, সাংবাদিকদের যে কোন দাবি ও দেশের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে বর্তমান কমিটি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। বিবৃতিদাতারা হলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় শাখার আহবায়ক মো.জাকির হোসেন, ফটো সাংবাদিক এম এ হাসান, মো. জাহিদুল ইসলাম, নাজমুল হক পাপ্পু, দেবব্রত রায়, শেখ কামরুল আহসান, বাপ্পি খান, মো. হাসানসহ অন্যান্য ফটো সাংবাদিকবৃন্দ।
খুলনায় কাঁচাবাজারে ৬ কোটি টাকার লোকসানের আশংকা
ঃ দেশে বিরজমান সহিংসতা ও টানা হরতালে খুলনার কাঁচা বাজারে ৬ কোটি টাকার লোকসান হওয়ার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ৩০ থেকে ৩৫ ল টাকার মাল নষ্ট হওয়ারও আশংকা করছেন তারা। খুলনা কাঁচা বাজার সূত্রে জানা যায়, খুলনাস্থ দৌলতপুর ও সোনাডাঙ্গাস্থ কাঁচা বাজার থেকে তরিতরকারি দেশের ১৬টি জেলার ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান। হরতালের কারনে পরিবহন বন্ধ থাকায় কাঁচা বাজারের এই বিকিকিন বন্ধ থাকে। ফলে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন বিপুল পরিমানে লোকসানের। এ ব্যাপারে খুলনা পাইকারী কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মঈনুল ইসলাম নাসির জানান, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কারনে হরতালের আগের দিন থেকে বেচা কেনা কম হয়। প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি টাকার বেচাকেনা হলেও হরতালে কারনে বর্তমানে ১কোটি ২০ লাখ টাকা বেচাকেনা কম হচ্ছে। সামনের ৩ দিনের হরতালে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেচাকেনা হবে না। তাতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের শিকার হবেন প্রায় ৬ কোটি টাকার মত। এছাড়া বাজারে বর্তমানে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা কাঁচামাল নষ্ট হবে। তিনি আরও বলেন রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে কর্মসূচী প্রদান করা উচিত। এবং হরতালের নামে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যবসায়ী ও দেশবাসীর তি সাধন থেকে বিরত থাকা উচিত। শনিবার সরোজমিনে খুলনার সোনাডাঙ্গাস্থ ও দৌলতপুরস্থ কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের আনাগোনা ও কেনাবেচা অনেক কম।
মংলায় জামায়াত পুলিশের সংঘর্ষে আহত ২২, আটক ২
ঃ মংলায় জামায়াত পুলিশের সংঘর্ষে ২ পুলিশসহ অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে। আটক হয়েছে দু’শিবির কর্মী। কারাবন্দী জামায়াতের নেতাদের মুক্তি ও দেলোয়ার হোসেন সাইদির ফাঁসির রায় বাতিলের দাবীতে শনিবার দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে শহরে লাঠিশোঠা নিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করে জামায়াত শিবির। বাগেরহাট জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ ও মংলা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মানিকের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের তাজমহল রোড এলাকায় পৌছালে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এ সময় ঘন্টাধরে চলা সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ জামায়াত শিবিরের ২২ নেতা কর্মী আহত হয়। পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ২ জন। এ ঘটনার পর থেকে শহরে দোকান পাট বন্ধ রয়েছে, শহরে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা।
খুলনায় বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ : ফাঁকা গুলি
ঃ খুলনায় গফনযভা বিএনপির মিছিলে লাঠি চার্জ এবং ফাঁকা গুলি চালিয়েছে পুলিশ। শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে খুলনা মহানগর বিএনপি দলীয় কার্যালয় থেকে বিােভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ডাকবাংলা মোড়ে এসে পৌছালে কে বা কারা মিছিলটির পিছনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এতে মিছিলকারীরা আতঙ্কিত হয়ে ছুটাছুটি করার এক পর্যায়ে দোকানপাট ভাংচুর করা শুরু করে। মিছিলকারীরা ফেরীঘাট মোড়ে পৌছালে পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৫-৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠি চার্জ করে।
খুলনায় পুলিশ-বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ ঃ আহত ২০ মিছিল ল্য করে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়েছে পুলিশ
খুলনায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, টিয়ারসেল নিপে ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। বিুব্ধ কর্মীরা পুলিশকে ল্য করে পাল্টা ইটপাটকেল নিপে করে। এ সময় বিএনপির ১৫/২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। শনিবার বিকেল পৌনে ৬টায় খুলনা মহানগরীর ডাকবাংলো মোড়ে মিছিলকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর তা ফেরিঘাট মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশ বৃষ্টির মতো গুলি করেছে বলে প্রত্যদর্শীরা জানায়। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করা, দেশব্যাপী জুলুম-নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেফতার এবং গণহত্যার প্রতিবাদে মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিকেলে কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল বের করে বিএনপি। নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপির নেতৃত্বে মিছিলটির অগ্রভাগ যখন ফেরিঘাট মোড়ে পৌছেছে সে সময় মিছিলের শেষ অংশ ছিল ডাকবাংলো মোড়ে। হঠাৎ করে কতিপয় বহিরাগত যুবক লাঠি নিয়ে মিছিলের পেছনে হামলা করে। তারা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটায়, আশেপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ল্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। মুহুর্তের মধ্যে পরিস্থিতি বদলে যায়। পেছন থেকে সদর থানা পুলিশ এবং সামনে থেকে ওসি এস এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ মিছিল ল্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। মুহুর্তেই মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় বিুব্ধ যুবদল কর্মীরা পুলিশকে ল্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ও টিয়ারসেলে যুবদল নেতা জাকির মুন্সি, নুরুল আলম নুরু, এমরান, জসিম, বেল্লাল, সুমন, হালিম, জুলফিকার, ভুট্ট, জিয়া, শাহিন ও আমিনসহ ১৫/২০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে অনেকেই ছররাবিদ্ধ হন। নগরীর একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এ ধরনের হামলার ঘটনায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর পুলিশ প্রহরা বাড়ানো হয়েছে এবং আশেপাশের ঘরবাড়িতে ব্যাপক তল্লাশী চলছে। মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি অভিযোগ করেন, পুলিশ সম্পূর্ন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে। মিছিলে বহিরাগতদের হামলা প্রতিরোধে তারা দায়িত্ব পালন না করে নির্বিচারে গুলি করে আমাদের ১৫/২০ জন নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এ বিষয়ে খুলনা থানায় যোগাযোগ করা হলেও কোন তথ্য দিয়ে সহায়তা করা হয়নি।
খুলনায় পুলিশ-শিবির সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ : পুলিশ আহত
এম শিমুল খান, খুলনা অফিস ঃ খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এলাকায় শিবির ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় খুলনা মহানগর শিবির মিছিল বের করে মিছিলটি গল্লামারী এলাকায় পৌছালে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশ গুলি ও রাবার বুলেট নিপে করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা তা বিস্তারিত জানা যায়নি। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, গল্লামারী থেকে জামায়াত শিবিরের একটি মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় মিছিল থেকে পুলিশকে ল্েয করে ১৫/২০ টি বোমা নিপে করা হয়। এতে কনস্টবল নুরুজ্জামান আহত হন। তাকে প্রাথমিকভাবে খুলনা কিনিকে পাঠানো হয়েছে।
এম শিমুল খান, খুলনা অফিস।
Category: দেশের খবর